জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে রাজপথে থাকা, পরামর্শ দেওয়া, গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপে ছাত্রশিবির সহযোদ্ধার মতো ভূমিকায় থেকে সহযোগিতা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
সারজিস আলম বলেন, ছাত্রশিবিরকে আমরা ২৪-এ সহযোদ্ধা হিসেবে পেয়েছি। তাদেরকে আমরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পেয়েছি। রাজপথে থাকা, পরামর্শ দেওয়া, গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপে সহযোদ্ধার ভূমিকা রেখেছিল ছাত্রশিবির। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে একটি কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই, সত্য কখনও চাপা রাখা যায় না। সত্য প্রকাশিত হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত সদস্য সম্মেলনে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম।
সম্মেলনে সারজিস আরও বলেন, আমরা আমাদের জায়গা থেকে মনে করি, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিল, সংগঠন ছিল, এই খুনি হাসিনা স্বাধীন দেশে বেঁচে থাকাটা যাদের জন্য দুঃসাধ্য করে রেখেছিল। তিনি বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে খুনি হাসিনাসহ যারা আসবে তাদেরকেই ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৬ বছরে খুনি হাসিনা যাকেই তার পটেনশিয়াল থ্রেট মনে করেছিল, তাকেই যেভাবে পেরেছে নানা তকমা দিয়ে ব্লেম গেমে মেতে উঠেছিল। আমরা দেখেছি, অনেক নিরপরাধ মানুষকে, আলেম-ওলামাকে পটেনশিয়াল থ্রেট মনে করে তাদের জেলখানায় পুরে, হামলা-মামলা দিয়ে নির্যাতন করেছে, হত্যা করেছে।
সারজিস আলম আরও বলেন, আমরা একটি কথা বলতে চাই- খুনি হাসিনা আপনাদেরসহ অনেককে যেভাবে রিপ্রেজেন্ট করতে চেয়েছিল, সেটা নতুন প্রজন্ম বিশ্বাস করে না। বর্তমান প্রজন্ম অতটুকু বিবেক সম্পন্ন বলেই ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বিতাড়িত করেছে এবং তার দেওয়া প্রেসক্রিপশন বর্তমান প্রজন্ম গ্রহণ করে না বলেই তাকে দেশছাড়া করা হয়েছে। আমরা আশা করি, কাজের মধ্য দিয়ে আপনাদের গ্রহণযোগ্যতা দেশের মানুষের কাছে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাবেন।
পূর্বকোণ/মাহমুদ