নির্বাচন কমিশন যেহেতু হয়ে গেছে, তাই নির্বাচন বিলম্বের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৮ ডিসেম্বর রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সভাপতিত্ব করেন। সেই সভায় গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে যে ভাষণ দিয়েছেন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং পরবর্তীতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উপদেষ্টার ভাষণের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তা নিয়েও আলোচনা হয়।
ড. ইউনূসের ভাষণে নির্বাচন সংক্রান্ত বক্তব্য অস্পষ্ট দাবি করে তিনি বলেন, সভা মনে করে, তার বক্তব্যে নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য সময়ের কথা বলা হলেও নির্বাচনের রোডম্যাপ সম্পর্কে কোন সুনির্দিষ্ট বক্তব্য রাখা হয়নি। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ সালের প্রথম অংশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেন, যা একেবারেই অস্পষ্ট। নির্দিষ্ট কোন সময় উল্লেখ নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আশা করেছিলাম প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দিয়ে দেবেন। সেটা তার বক্তব্যে নেই। এটা আমাদের হতাশ করেছে। আবার তার প্রেস সচিব যা বললেন, সেটা সাংঘর্ষিক। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ২৫ অথবা ২৬ সালের শুরুতে নির্বাচন হবে। আর প্রেস সচিব বলেছেন ২৬ সালের জুনে নির্বাচন হবে। যার কারণে আমরা বুঝতে পারছি না কোনটা সঠিক।
এ ধরনের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য আরও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যেহেতু নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়ে গেছে, তাই নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিলম্বের প্রয়োজন নেই। নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কারগুলো সম্পন্ন করে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। জনগণ এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য আশা করে।
পঞ্চদশ সংশোধনী সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আদালত সংশোধনীর গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ অবৈধ ঘোষণা করেছেন, কিছু অংশ সংরক্ষণ করেছেন এবং অধিকাংশ আগামী সংসদের বিবেচনার জন্য ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু রিটগণ আদালতের কাছে আরও বেশি কিছু আশা করেছিল।
পূর্বকোণ/মাহমুদ