আওয়ামী লীগের সময়ে ভোট চুরিতে জড়িত প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন সচিব মো. মোখলেস উর রহমানের সঙ্গে দেখা করে বিএনপির পক্ষ থেকে গঠিত জনপ্রশাসন সংস্কার বিষয়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সচিব ইসমাইল জবিউল্লাহ সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
বিএনপি প্রশাসনে দলীয় নয়, নিরপেক্ষ লোক চায় বলেও জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জবিউল্লাহ। এসময় বিএনপির কমিটির সদস্য ও সাবেক জনপ্রশাসন সচিব আবু মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খানও উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধিদল বিএনপির জনপ্রশাসন সংস্কার প্রস্তাব জনপ্রশাসন সচিবের কাছে হস্তান্তর করে।
সুপারিশে বিগত তিন নির্বাচনে ভোট চুরির সাথে জড়িত প্রশাসনের কর্মীদের আইনের আওতায় আনা, প্রতি নির্বাচনের তিন মাস আগে প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো, প্রশাসনে ঘাপটি মেরে বসে থাকা আওয়ামী দোসরদের দ্রুত বিতাড়িত করার সুপারিশ জমা দেওয়ার কথা জানান ইসমাইল জবিউল্লাহ।
এছাড়া বৈষম্যের শিকার সব সরকারি কর্মচারীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবিও জানান তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনপ্রশাসন বলতে তো আর এখন জনপ্রশাসন নেই। গত ফ্যাসিস্ট রেজিম জনপ্রশাসনকে যেভাবে দলীয়করণ করেছে, তাই আগের সেই রূপে সেটি নেই। তারা ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য প্রশাসনকে ব্যবহার করেছে। প্রশাসনের পিরামিড আকৃতিটি নেই, এটি ডি-সেইপ হয়ে গেছে। এটি যেকোনো সময় ভেঙে পড়বে। গত ৫ আগস্টের পর যে জন আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, এই প্রশাসন দিয়ে তা পূরণ সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, উনি (শেখ হাসিনা) পালিয়ে গেছেন, কিন্তু এতদিন যাদের নিয়ে সংসার করেছেন তারা কিন্তু রয়ে গেছেন। সুতরাং তাদের চিহ্নিত করতে হবে।
ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে জনপ্রশাসন সংস্কারের জন্য সুপারিশ জমা দিতে এসেছি। জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছি। প্রশাসনে আমূল সংস্কার প্রয়োজন। প্রশাসককে সেবক রূপে দেখতে চাই। আমরা স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের কথা বলেছি। ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে যারা ভোট চুরি করেছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। প্রত্যেক নির্বাচনের তিন মাস আগে প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে। নতুন করে ডিসিদের ফিটলিস্ট করতে হবে। মাঠ প্রশাসনে নিয়োগের প্রথম ৩ মাস ফিল্ডে রাখতে হবে। বিগত দিনে যারা সিন্ডিকেট তৈরি করছে তাদের বিদায় করার সুপারিশ করেছি।
পূর্বকোণ/এএইচ