নতুন শিক্ষাবর্ষের আর মাত্র বাকি ২০ দিন। নতুন বছর মানেই নতুন শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে নতুন বই। তবে বিগত বছরের ন্যায় এবার হচ্ছে না বই উৎসব। বদলে যাচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের প্রায় সব পাঠ্যবই। এরমধ্যে প্রাথমিকের বই এসেছে চাহিদার মাত্র ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। তবে এখনো পর্যন্ত মাধ্যমিকের একটি বইও আসেনি চট্টগ্রামে। পাঠ্যসূচি পরিবর্তনের কারণে বই ছাপাতে কিছুটা বিলম্ব হলেও দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বই পাবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণত বছরের এ সময় নতুন শিক্ষাবর্ষের সব বই ছাপানো শেষ হয়ে থাকে। তবে এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। নতুন শিক্ষাবর্ষের বই তৈরির কার্যক্রম শুরু হয় জুন-জুলাই থেকে। এবার ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে তিন মাস দেরিতে শুরু হয় এই কার্যক্রম। সম্প্রতি প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বইয়ের পাণ্ডুলিপি দেওয়া হয়েছে মুদ্রণপ্রতিষ্ঠানকে। এসব শ্রেণির বই ছাপানোর কাজ চলছে। চতুর্থ থেকে দশম-সাত শ্রেণির বই ছাপানো শুরু হচ্ছে শীঘ্রই। ফলে ১ জানুয়ারির আগে সব বই ছাপিয়ে মাঠপর্যায়ে পৌঁছানো নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, চট্টগ্রামের মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১২ লাখ। এসব শিক্ষার্থীর বিপরীতে বইয়ের চাহিদা প্রায় দেড় কোটি। তবে এখনো পর্যন্ত মাধ্যমিকের কোন বই চট্টগ্রামে এসে পৌঁছায়নি। জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা অফিসার উত্তম খীসা বলেন, নানা জটিলতার কারণে এবার বই আসতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। কিছুটা বিলম্ব হলেও শিক্ষার্থীরা যথাসময়ে সব বই পেয়ে যাবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিকে বইয়ের চাহিদা হচ্ছে ৪০ লাখ ৩৪ হাজার ১৯৬টি। এরমধ্যে প্রাক-প্রাথমিকে বইয়ের চাহিদা হচ্ছে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৬। চট্টগ্রামে প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীর সংখ্যা হচ্ছে ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৫৩৪ জন।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. এস এম আব্দুর রহমান বলেন, প্রাথমিকের বই আসা শুরু করেছে। ইতোমধ্যে চাহিদার বিপরীতে প্রাথমিকের ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৯১২টি বই এসেছে। বাকিগুলো সময়মত চলে আসবে।
পূর্বকোণ/ইব