বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের ঢাকা টু আখাউড়া লংমার্চকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে স্থলবন্দরে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কঠোর নিরাপত্তা চোখে পড়ে।
জানা যায়, ভারতীয় আগ্রাসন ও ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে বুধবার আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ করছে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। তাদের উদ্যোগে লংমার্চটি ঢাকা থেকে নেতাকর্মীদের বিশাল গাড়িবহর নিয়ে সীমান্তবর্তী জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর সীমান্তে এসে উপস্থিত হচ্ছে।
ইতোমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পার্শ্ববর্তী জেলা কুমিল্লা বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা স্থলবন্দর এলাকার সমাবেশস্থলে উপস্থিত রয়েছেন। আর এই সীমান্তের ৩৫০ গজ দূরে অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোনভাবেই যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থির অবনতি না হয় তা কঠোর নজরদারিতে রয়েছে।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, বন্দরের শূন্য রেখা বিজিবির আইসিপি থেকে সমাবেশের ৫০ গজ দূর পর্যন্ত ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া নেতাকর্মীরা এই ব্যারিকেডের ভেতরে অবস্থান করলে পুলিশি-বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদেরকে সরিয়ে দিচ্ছে।
সুলতানপুর ৬০ বিজিবির সিইউ লেফট্যানেন্ট কর্নেল এএম জাবের বিন জব্বার সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্তে যেকোন ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে সর্তক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সব স্থানে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি বলেন, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও বিএনপির অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে ঢাকা টু আখাউড়া লংমার্চের আয়োজন করেছে। লংমার্চকে কেন্দ্র করে কোনরকম বিশৃঙ্খলা যেন সৃষ্টি হতে না পারে তার জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ সুপার, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা জোরদারে তৎপর রয়েছে।
এদিকে, লংমার্চকে ঘিরে স্থলবন্দরের রপ্তানি ও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। আমদানি-রপ্তানিতে কোন বিরূপ প্রভাব পড়েনি। আখাউড়া স্থলবন্দরের ট্রাফিকের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান জানান, সকালে ২৩টি ট্রাকে করে হিমায়িত মাছ, শুটকিসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে। তাছাড়া যাত্রীরা অনায়াসেই পারাপার করতে পারছে।
পূর্বকোণ/মাহমুদ