চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

জেল থেকে পলাতক ৭০০ বন্দী এখনও অধরা: কারা মহাপরিদর্শক

অনলাইন ডেস্ক

৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৩:৪৫ অপরাহ্ণ

গণঅভ্যুত্থানের সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে কারাগার থেকে পলাতক ২২ শতাধিক আসামির মধ্যে এখনও সাত শতাধিক আসামি অধরা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন।

 

এর মধ্যে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ ৭০ জন শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ঝুঁকিপূর্ণ কারাবন্দী রয়েছে বলে জানা তিনি। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার কারা অধিদপ্তরের বর্তমান কারাগারের পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।

 

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন বলেন, কারাগার থেকে এখন পর্যন্ত আলোচিত ১৭৪ জন আসামিকে মুক্তি দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১১ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীও মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের বিষয়। আমরা আদালতের নির্দেশ মানতে বাধ্য।

 

কারা মহাপরিদর্শক বলেন, বর্তমানে দেশে মোট ৬৯টি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি কারাগার অনেক পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ। সরকার বিষয়গুলো জানে। এগুলো অতিদ্রুত সংস্কার, মেরামত ও পুনর্নির্মাণ দরকার।

 

তিনি বলেন, গত তিন মাসে কারাগারসমূহে অধিকতর স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা আনয়নের লক্ষ্যে বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কারা অভ্যন্তরের সবধরনের তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। বন্দী ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় কারা হাসপাতাল স্থাপনসহ বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ কারাগার পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া জ্যামার, বডিক্যামসহ আধুনিক সরঞ্জামাদি ক্রয়ের উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে।

 

কারা অভ্যন্তরে মাদকদ্রব্যের প্রবেশরোধে ঝুঁকিপূর্ণ কারাগারসমূহে ডগ স্কোয়াড মোতায়েন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কারারক্ষীদের তাদের পেশাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে কারা সদরদপ্তরসহ বিভিন্ন কারাগারে পদায়ন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সবসময় বন্দীদের সঙ্গে মানবিক আচরণ নিশ্চিতের জন্য বেশ কয়েকটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

 

বন্দী ব্যবস্থাপনায় অধিকতর স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে কারাগার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সফটওয়্যারসহ, আরএফ আইডি এবং জিপিএস ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে কারা মহাপরিদর্শক বলেন, এছাড়া সেবাপ্রত্যাশীদের সহায়তার জন্য ২৪ ঘণ্টা হটলাইন চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, নানা মহলের দাবির প্রেক্ষিতে কারা অধিদপ্তরের লোগো পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রস্তাবিত লোগো যেন কারা অধিদপ্তরের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে।

 

পূর্বকোণ/মাহমুদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট