জুলাই-আগস্টে সংঘটিত নজিরবিহীন গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক দুই মন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন ও শুনানির জন্য আগামী ১৮ ডিসেম্বর পরবর্তী দিন ঠিক করেছে আদালত।
প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশন পক্ষে আবেদনের শুনানি করেন প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ ও গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম।
এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পরোয়ানায় কামরুল ইসলাম এবং আমির হোসেন আমুকে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে প্রিজনভ্যানে করে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। এরপর তাদের রাখা হয় ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায়। সেখান থেকে তাদের বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় তোলা হয়। পরে প্রসিকিউশনের আবেদনের শুনানি নিয়ে তাদের ট্রাইব্যুনালের অধীনে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের কয়েকশো অভিযোগ এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে জমা পড়েছে। গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
এরইমধ্যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক নয় মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক সচিবকে কারাগারে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
পূর্বকোণ/মাহমুদ