চট্টগ্রাম শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড ২৯ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

অনলাইন ডেস্ক

৩০ নভেম্বর, ২০২৪ | ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ

কিশোরগঞ্জ শহরের মাঝে দিয়ে বয়ে যাওয়া নরসুন্দা নদীর কূল ঘেঁষে অবস্থিত ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ১১টি লোহার দানবাক্স খোলা হয়েছে। ৩ মাস ১৪ দিন পর আজ শনিবার সকাল ৭টায় দানবাক্সগুলো খোলার পর এতে রেকর্ড ২৯ বস্তা টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনাদানা পাওয়া গেছে।

মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ চার শতাধিক মানুষ ওই ২৯ বস্তা টাকা গণনার কাজে অংশ নিয়েছেন। এবার দানবাক্স খোলার সময় পেরিয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত একটি টিনের বাক্স বাড়ানো হয়।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মিজাবে রহমত এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এ সময় বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান জানান, এবার ৩ মাস ১৪ দিন পর আজ সকালে পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্স খোলা হয়। এতে ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। মসজিদ কমপ্লেক্সের দু’তলায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, ৩ মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার তিন মাস ১৪ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়। তাই একটি টিনের ট্রাঙ্ক বাড়ানো হয়েছিল। আশা করা হচ্ছে, অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে টাকার পরিমাণ যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি হবে।

টাকা গণনার কাজে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষক ও আইসিটি) মহুয়া মমতাজ, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজ প্রমুখ অংশ নিয়েছেন।

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট