তাবলীগ জামাতের জোবাইরপন্থীদের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণে ওপেন চ্যালেঞ্জ ও বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে ৫ দাবি তুলে ধরেছে সাদপন্থিরা।
বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব চ্যালেঞ্জ ও দাবি তুলে ধরেন সাদ অনুসারী আলেম-ওলামারা।
কাকরাইল মসজিদের খতিব আজিম উদ্দিন বলেন, গত ৫ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জুবায়েরপন্থীদের আয়োজিত প্রোগ্রাম থেকে অসংখ্য অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা জাতির সামনে বিষয়টি স্পষ্ট করার লক্ষ্যে সমাধানমূলক ৭টি শর্তের ভিত্তিতে ওপেন চ্যালেঞ্জের প্রস্তাব দিচ্ছি।
শর্তগুলো হচ্ছে
১. দারুল উলম দেওবন্দের মাওলানা আরশাদ মাদানী (দা. বা.) ও পাকিস্তানের শাইখুল ইসলাম মুফতি তাকি উসমানীসহ (দা. বা.) ভারত ও পাকিস্তানের শীর্ষ আলেমরা বিচারক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
২. সরকারের উপদেষ্টা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
৩. গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন এবং লাইভ ও রেকর্ড সম্প্রচার করা হবে।
৪. সুনির্দিষ্ট বিষয়ে আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
৫. উভয় পক্ষের নির্দিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
৬. বিতর্কটি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে।
৭. বিচারকমণ্ডলীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন ও পালনে সাদপন্থীদের পাঁচ দাবিগুলো হলো
১. মাওলানা সাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
২. বিগত সাত বছরের বৈষম্য দূর করে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব নিজামুদ্দিন মারকাজ অনুসারী মূলধারা তাবলীগের বুঝিয়ে দিতে হবে।
৩. কাকরাইল মসজিদ ও বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের বৈষম্য দূর করে তাবলীগের মূলধারার সাথীদের হাতে বুঝিয়ে দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছে।
৪. ১ ডিসেম্বর ২০১৮-তে টঙ্গীর ময়দানে যে দুজন হত্যা হয়েছে এবং কিশোরগঞ্জে ও নিউমার্কেটে তিনজন হত্যা হয়েছে তাতে জুবায়েরপন্থীদের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে।
৫. সারা বাংলাদেশে মসজিদে উস্কানিমূলক বক্তব্য বন্ধ করতে হবে।
খতিব আজিম উদ্দিন বলেন, দাওয়াতে তাবলীগ বিশ্বব্যাপী একটি অরাজনৈতিক, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ সংগঠন। বিশ্বব্যাপী এই দাওয়াতি সংগঠনের বাৎসরিক সম্মেলন বা বিশ্ব ইজতেমা প্রায় ৫৭ বছর ধরে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
পূর্বকোণ/এমটি/পারভেজ