চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

ইসলামি সম্মেলন থেকে ৯ দফা দাবি, ইজতেমার তারিখ ঘোষণা

পূর্বকোণ ডেস্ক

৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ৪:৩৯ অপরাহ্ণ

‘দাওয়াত ও তাবলিগ, মাদারেসে কওমিয়া এবং দ্বীনের হেফাজতের লক্ষ্যে’ ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের উদ্যোগে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) আয়োজিত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইসলামি মহাসম্মেলন থেকে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।

 

ঘোষণা পাঠ করেন কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক।

 

তিনি জানান, বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে মহাসম্মেলন থেকে।
এ সময় মাহফুজুল হক ২০১৮ সালে ইজতেমার ময়দানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিচার ও কাকরাইল মসজিদ আলেমদের নিয়ন্ত্রণে রাখাসহ ৯ দফা দাবি ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে সম্মেলনের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি দাবিগুলো মানতে একান্ত সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

 

সোমবার (৪ নভেম্বর) ‘তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপকে (জোবায়ের ও সাদ) নিয়ে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়। তবে সেখানে তাবলীগের জুবায়েরপন্থি (হেফাজত, কওমি আলেমদের অনুসারী) আলেমরা উপস্থিত হননি। বিগত কয়েক বছর ধরে সরকারের পক্ষে আলোচনা সাপেক্ষে ইজতেমার দিনক্ষণ ঠিক করা হলেও এবার জুবায়েরপন্থিরা নিজেরাই দিনক্ষণ জানালো।

 

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে দুজন নিহত ও শতাধিক আহত হন। এরপর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই ভাগ হয়ে পড়ে তাবলিগ জামাত। ২০১৯ সাল থেকে আলাদাভাবে বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলিগের কার্যক্রম পরিচালনা করেন তারা। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ১০ জানুয়ারি কাকরাইল মসজিদে আসেন ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভি।

 

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ফজরের নামাজের পর থেকেই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উদ্দেশে জড়ো হন আলেমরা। এই আলেমরা হেফাজতের অনুসারী। মহাসমাবেশের পেছনে খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের অবদান রয়েছে।

 

সমাবেশ রাজধানীর ঢালকানগর মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি জাফর আহমাদ বলেন, ‘শরয়ী তওবা না করা পর্যন্ত ওলামায়ে কেরামদের সঙ্গে, দাওয়াত ও তাবলিগের সঙ্গে মাওলানা সাদের কোনও সম্পর্ক নাই। আমাদেরও তার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নাই।’

 

পূর্বকোণ/এমটি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট