চট্টগ্রাম শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারি, ২০২৫

সর্বশেষ:

হিন্দুদের উৎসব এলে ভীতি সৃষ্টি করতো আ.লীগ সরকার: তারেক রহমান

অনলাইন ডেস্ক

২৯ অক্টোবর, ২০২৪ | ৯:২২ অপরাহ্ণ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সব মানুষ সাক্ষী— হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কোনও উৎসব এলেই ইচ্ছা করেই সারা দেশে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হতো। দলীয় হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে এটা সৃষ্টি করতো বিগত সরকার। পরাজিত শক্তি দেশে সাম্প্রদায়িক পরিবেশ সৃষ্টি করতো। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে অন্য ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলার কোনও বিচার নিশ্চিত হয়নি।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছাবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএনপি।তারেক রহমান বলেন, ‘দোসরদের উসকানিতে পা দেবেন না। গুজবে কান দেবেন না দয়া করে।’

তিনি উল্লেখ করেন, নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে পরাজিত শক্তি দেশে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতো। সারা দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের কোনও একটি ঘটনার বিচার করেনি তারা।

তারেক রহমান বলেন, ‘মাফিয়া সরকারের রেখে যাওয়া ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে মেরামত করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এরইমধ্য বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। ১৫ বছরের জঞ্জাল শেষ করে চলমান সংস্কার কার্যক্রম শেষ করা বিশাল কর্মযজ্ঞ।’

‘তবে একটি বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি— এই বিশাল কর্মযজ্ঞ  সম্পাদন করতে গিয়ে জনগণের প্রতিদিনের দুঃখ-দুর্দশা লাগব করা না গেলে, জনগণের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করার বিষয়টি উপেক্ষিত থাকলে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কার্যক্রম প্রশ্নের মুখে পড়বে। ফলে এই সরকারের কার্যক্রম অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এজেন্ডাভিত্তিক করা অত্যন্ত জরুরি।’

বিএনপির শীর্ষ নেতার মন্তব্য, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে পরাজিত অপশক্তি, প্রশাসনে থাকা তাদের দোসররা নানা কৌশলে ষড়যন্ত্র করছে। এ কারণে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচি থাকলেও একটি বিষয় বিএনপিসহ সবাই আমরা একমত যে, মাফিয়া সরকারের বেনিফিয়িশারদের রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রেখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের লক্ষ্য পৌঁছানো সহজ নয়।’

হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময়ের আয়োজন করে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর একটা যে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল,  কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক সেই সম্ভাবনাকে আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। এবার ৫ আগস্টের পর আবার একটা নতুন সম্ভাবনা এসেছে। আসুন, আমরা সবাই মিলে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বপ্ন বাস্তবায়ন করি।’

পতিত শক্তি নানা ধরনের উসকানি দিয়ে যাচ্ছে, কোনোভাবে এই উসকানির ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আসুন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করি।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী, সবাই মিলে শান্তিতে বসবাস করতে চাই। ধর্ম যার যার দেশটা আমাদের সবার। ৫ আগস্টে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের পর একটা প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। আসুন আমরা সবাই মিলে একটি ঐক্যবদ্ধ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠন করি।’

পূর্বকোণ/আরআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট