বিশ্বের অন্যান্য দেশে এখনও পুরোপুরি পোলিও মুক্ত না হলেও প্রায় এক দশক আগেই বাংলাদেশকে পোলিও মুক্ত ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর কারণে পোলিও ফিরে আসার শঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকগণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে থাকে।
অনেকগুলো লক্ষণের মধ্যে গুরুতর হলো-জ্বর, শ্বাসকষ্ট শেষে পক্ষাঘাত বা পঙ্গুত্ববরণ। আক্রান্তের হার বেশি হলে নানা জটিলতাসহ মৃত্যু হয় এ রোগীর। এমন বাস্তবতার মধ্যেই আজ ২৪ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) পালিত হচ্ছে বিশ্ব পলিও দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি। বাংলাদেশে পোলিও প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, ১৯৮৮ সালে সারাবিশ্বে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৮৮ হাজার। ২০০৫ সালে ছিল দুই হাজার। ২০১৪ সালে ভারত, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার ১১টি দেশকে পোলিও মুক্ত ঘোষণা করে সংস্থাটি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, একসময় পোলিও রোগে পৃথিবীর বহু দেশে অগণিত শিশুকে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে। পোলিও’র বিরুদ্ধে লড়তে এক মাস থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে শিশুদের নিয়মিত টিকা দিতে হয়। এটি শুধু নিজের সন্তানই নয়, প্রতিবেশীর শিশু থাকলে তারাও যাতে এ টিকা গ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত না হয় এ বিষয় সবাইকে সচেতন করতে হবে। তাহলেই পৃথিবীকে পোলিও ভাইরাস মুক্ত করা যাবে।
পূর্বকোণ/ইব