যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে এবার ভারত থেকে ডিম আমদানি হলো সাড়ে ৬ টাকা দরে। এই দরে রোববার ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম আমদানি হয়েছে।
প্রতি ডজন ডিমের ইনভয়েস মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ সরকারি রাজস্ব কমিয়ে ১৩ শতাংশ করা হয়েছে। প্রতি পিস ডিমের শুল্ক মূল্য একটাকা ৭০ পয়সার পরিবর্তে দশমিক ৭৫ পয়সা আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ নিয়ে গত বছরের ৫ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৫টি চালানে ৯ লাখ ৮৯ হাজার ৩১০ পিস মুরগির ডিম আমদানি করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে ভারতীয় একটি ট্রাকে এসব ডিম আমদানি করা হয় এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে চালানটি খালাস করা হয়েছে। বিকালে এসব ডিম বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শেখ জাহিদুর রহমান।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, প্রতি ডজন ডিমের ইনভয়েস মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ সরকারি রাজস্ব কমিয়ে ১৩ শতাংশ করা হয়েছে। প্রতি পিস ডিমের শুল্ক মূল্য একটাকা ৭০ পয়সার পরিবর্তে দশমিক ৭৫ পয়সা আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে।
কাস্টমস সূত্র জানায়, আমদানিকৃত এ ডিমের মূল্য ৯ হাজার ৯৬৯ মার্কিন ডলার। প্রতি ডজন ডিমের আমদানি মূল্য শূন্য দশমিক ৫৮ ডলার, বাংলাদেশি টাকায় প্রতিটি ডিমের মূল্য পাঁচটাকা ৭০ পয়সা। প্রতিডজন ডিমের ইনভয়েস মূল্যের ওপর ১৩ শতাংশ সরকারি রাজস্ব পরিশোধ করে ও সকল খরচ মিলিয়ে প্রতিটি ডিমের মোট মূল্য দাঁড়ায় ৬ টাকা ৫০ পয়সা।
ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রো ল্যান্ড সলুশন ভারত থেকে ৪টি চালানে ৯ লাখ ২৭ হাজার ৩৬০ পিস ডিম আমদানি হয়েছে। ডিমের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কলকাতার শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ ভাণ্ডার। আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি খালাসের জন্য কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দাখিল করেছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনাল।
পূর্বকোণ/পারভেজ