বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জোর করে পদত্যাগ, অপসারণ, বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক ছুটি, কর্মস্থলে বাধা দেয়া হয়েছে অনেক অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকদের। তাদের পুনর্বহালের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি এবং কর্মস্থলে নিরাপত্তা চেয়ে পাঁচ দফা সুপারিশ জানিয়ে মানববন্ধন করেছে পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষক জোট।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষক জোটের আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম তালুকদার বলেন, গত ৫ আগস্টের পর দেশের পরিস্থিতিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকদের অপমান, অপদস্ত, হেনস্তা ও মারধর করে জোরপূর্বক পদত্যাগ, অপসারণ, বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক ছুটি, কর্মস্থলে বাধাগ্রস্ত ও প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যেখানে শিক্ষকদের বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর, সেখানে আজ আমরা নিগৃহীত, নির্যাতিত। দেশের শিশুদের আগামী দিনের সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার ব্রত নিয়ে সততা, নিষ্ঠা ও নৈতিকতার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে স্বার্থলোভী লোকদের ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়েছি আমরা। স্বার্থান্বেষীরা এই সংকটময় পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে, দুষ্কৃতকারীদের সঙ্গে নিয়ে এমন নিষ্ঠুর নির্মম ঘটনা ঘটিয়েছে, যা অস্বাভাবিক, অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত।
পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষক জোটের সমস্যা সমাধানে পাঁচটি প্রস্তাব জানানো হয়। তাদের প্রস্তাবগুলো হচ্ছে:
১. পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকদের এমপিও থেকে নাম কর্তন না করে বেতন-ভাতাদি চালু রাখার ব্যবস্থা করা;
২. পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ অপসারণ বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক ছুটি বাতিল ঘোষণা করা;
৩. সসম্মানে স্বপদে বহাল করে কর্মস্থলের নিরাপত্তা বিধান করা;
৪. অনতিবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বার্থলোভী ও শৃঙ্খলাভঙ্গকারীদের উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা;
৫. পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকদের সমমানের এমপিওভুক্ত স্কুলে শূন্যপদে বদলির ব্যবস্থা করা।
মানববন্ধনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ