জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ বলতো আইন সবার জন্য সমান। সেই সমান আইনে তাদের বিচারের অধিকার আছে কিনা? তাদের তৈরি করা কালা-কানুনে দ্রুত তাদের বিচার করতে হবে। তাদের ‘বেনিফিট’ থেকে যেন মাহরুম (বঞ্চিত) করা না হয়।
জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে রবিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে বাংলাদেশের মানবতা ও গণতন্ত্রকে জবাই করা হয়েছে। ওই দিনটিতে সত্যিকারার্থে বাংলাদেশ পথ হারিয়েছিল। সাড়ে ১৭ বছর বহু ত্যাগ-তিতিক্ষার পর ৫ আগস্ট বাংলাদেশ তার আপন পথ ফিরে পেয়েছে।
তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবরের পর সাজানো-পাতানো নির্বাচনে একটি দল ক্ষমতায় এসেছিল। সেই দলটির নাম এখন কেউ নিতে চায় না। আমরাও নেব না। তাদেরকে নিষিদ্ধ করার ইতিহাস আছে, যখন বাকশাল কায়েম করা হয়। সেই দলটিকে জনগণ আবার নিষিদ্ধ করেছে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত সব গণহত্যার বিচার করতে হবে। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৫ আগস্টে যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিচার আগে করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শহীদের রক্ত এখনও তাজা; শহীদের পরিবার, স্বজনরা এখনও কাঁদছে। আহতরা এখনও কাতরাচ্ছে। আমাদের দাবি স্পষ্ট, বিচার হোক। এই বিচার করা খুবই সহজ, সাক্ষীও জীবিত। এজন্য যত দ্রুত সম্ভব ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার জন্য গণহত্যায় জড়িতদের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে।
জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, অগণতান্ত্রিক যারা তারাই তাদের সন্তানদের হাতে হাতুড়ি মাথায় হেলমেট তুলে দিয়েছিল। তাদের চাইতে বড় চরমপন্থি-সন্ত্রাসী বাংলাদেশে আর কেউ জন্ম নেয়নি। তাদের শাসনামলে পুরোটাই ছিল চরমপন্থা-সন্ত্রাসী কার্যক্রমের।
তিনি বলেন, আমরা সন্ত্রাসকে ঘৃণা করি। আমরা জাতিকে আশ্বস্ত করছি, কোন সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে আমরা আইন হাতে তুলে নিয়ে প্রতিশোধ নেব না। তারা যেভাবে আইন হাতে তুলে নিয়ে মানুষকে কষ্ট দিয়েছে, আমরা তা করব না। আমরা প্রত্যেকটি জুলুমের বিচার চাইবো প্রচলিত আইনের মাধ্যমে।
পূর্বকোণ/মাহমুদ