দেশে এক মাসের কমবয়সী কন্যাশিশুর মৃত্যুহার বেড়েছে। জীবিত জন্ম নেয়া প্রতি এক হাজার কন্যাশিশুর মধ্যে ১৭ জনই মৃত্যুবরণ করছে। এর মধ্যে শহরের চেয়ে পল্লী এলাকাতেই মৃত্যুহার বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ প্রকাশিত স্যাম্পল ভাইটাল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম-২০২৩ এর প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গত আগস্টে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বিবিএস’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশে এক মাসের কমবয়সী কন্যাশিশুর মৃত্যুহার ছিল ১৫। অর্থাৎ, জীবিত জন্ম নেয়া প্রতি এক হাজার কন্যাশিশুর মধ্যে ১৫ জনই মৃত্যুবরণ করেছে এই সময়ে। সে হিসেবে ২০২২ এর তুলনায় ২০২৩ সালে দেশে কন্যাশিশুর মৃত্যুহার বেড়েছে। সংখ্যার হিসাবে যা জীবিত জন্ম নেয়া এক হাজার কন্যাশিশুর মধ্যে দু’জন বেশি।
এমন বাস্তবতায় আজ দেশে উদযাপিত হতে যাচ্ছে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে- ‘কন্যাশিশুর স্বপ্নে গড়ি আগামীর বাংলাদেশ’। জাতীয় এই দিবস উদযাপনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে নানা কর্মসূচি গ্রহণ ও প্রতিপাদ্য বিষয়টি ব্যাপক প্রচারের অনুরোধ করেছে অধিদপ্তর।
২০০৩ সালে কন্যাশিশুদের সুরক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় ৩০ সেপ্টেম্বরকে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস ঘোষণা করা হয়। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ শিশুর উন্নয়ন, সুরক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বর্তমান সরকার। এই শিশুদের অন্তত ১৫ শতাংশ কন্যাশিশু। করোনাকালে কন্যাশিশুর ওপর বঞ্চনা বেড়ে যাওয়ায় এখন দিবসটি বিশেষ গুরুত্ব সহকারে উদযাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
পূর্বকোণ/এমটি