নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র জমা না দেওয়ায় সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের দুটি আগ্নেয়াস্ত্র এখন অবৈধ অস্ত্র হিসেবে বিবেচিত হবে বলে জানিয়েছে নাটোরের পুলিশ।
তবে জানা গেছে, পলকের নামে লাইসেন্স করা অস্ত্র শেখ হাসিনার সরকার পতনের দিনই খোয়া গেছে। সরকার পতনের পর সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। তার নামে লাইসেন্স করা দুটি আগ্নেয়াস্ত্র রাখা ছিল জাতীয় সংসদ ভবনে।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গণভবন ও সংসদ ভবন নিয়ন্ত্রণে নেয় হাজারো মানুষ। বিজয় উদযাপনের পাশাপাশি লুটপাটও চলে ভবন দুটিতে। সে সময় অন্যান্য মালামালের সঙ্গে পলকের সংসদ ভবনের অফিস কক্ষে রাখা তার আগ্নেয়াস্ত্র দুটিও লুট হয়।
নাটোরের পুলিশ সুপারের কার্যালয় জানিয়েছে, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া সময় ৩ সেপ্টেম্বর পার হয়েছে। অস্ত্র দুটি নাটোর প্রশাসনের কাছে বা থানায় কেউ জমা দেয়নি। ফলে আগ্নেয়াস্ত্র দুটি এখন অবৈধ অস্ত্র হিসেবে বিবেচিত হবে এবং তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
নাটোরের পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন গণমাধ্যমকে জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় লাইসেন্স দেওয়া ৯৫টি অস্ত্রের মধ্যে নির্ধারিত সময়ে ৮৯টি অস্ত্র জমা পড়েছে। যে ছয়টি জমা পড়েনি, তার মধ্যে দুটি সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকের ও দুটি এমপি শিমুলের। এখন এগুলো অবৈধ বলে ঘোষিত হয়েছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনী কাজ করছে।
পূর্বকোণ/এএইচ