চট্টগ্রাম সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আওয়ামী লীগকে ধর্ম আর বঙ্গবন্ধুকে নবী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল: হাসনাত

অনলাইন ডেস্ক

৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৬:১৬ অপরাহ্ণ

আওয়ামী লীগ আমলে যৌক্তিক কোনো দাবির কথা তোলা হলেই ট্যাগিং ও ব্লেমিংয়ের মতো কাজ শুরু হতো, সহজেই একজনকে বিএনপি-জামায়াত বানিয়ে দেয়া হতো বলে অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

 

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সমন্বয়ক সারজিস আলম, আবু বাকের মজুমদারসহ কয়েকজন সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়ক।

 

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‌‘বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ একটি আলাদা ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আর রাজনৈতিক নবী হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের আলাদা, কালচার, পোশাক, খাবার সবই ছিল। কোনো যৌক্তিক দাবি নিয়ে কথা বললেও ট্যাগিং ও ব্লেমিংয়ের মাধ্যমে চুপ করিয়ে দেয়া হতো। যেন আওয়ামী লীগের বাইরে কেউ কোনোকিছু করতে পারবে না।’

 

বাংলাদেশের সংবিধানকে আওয়ামী সংবিধান উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের সংবিধানকেই আমাদের সংবিধান করা হয়েছিল। মুজিববাদকে আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল।

 

এ সময় তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য সবসময় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করেছে। হাইকোর্ট, বিচারব্যবস্থা, স্বাস্থ্যব্যবস্থার ঘাড়ে বন্দুক রেখে পুঁজিবাদের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদকে ধরে রাখার চেষ্টা করেছে তারা।

 

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ৫ জুলাই যখন হাইকোর্টের রায় হয় শিক্ষার্থীরা সেই রায় প্রত্যাখ্যান করে এবং আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনের শুরুর দিকে গত ১৮ বছর ধরে চলে আসা ‘ট্যাগিং ব্লেমিং’ যে বিষয়টি ছিল অর্থাৎ যখনই কেউ দাবি নিয়ে মাঠে আসতো তখনই তাকে রাজনৈতিক পরিচয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হতো। আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য দলের রাজনীতি করলে তখন তাদের কোনো যৌক্তিক দাবি জানানোর অধিকার ছিল না।

 

তিনি আরও বলেন, বিষয়টিকে গণমাধ্যম থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠান মেনে নিয়েছিল। আর এ কারণেই শুরুতেই দাবির চেয়ে এটি অরাজনৈতিক আন্দোলন, এ বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হতো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট