দেশে বিদ্যমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে যারা লুটপাটসহ ধ্বংসাত্মক কাজে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি কথা জানান। সেনাপ্রধান বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সেনাবাহিনী অন্য বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। যারা এই সমস্ত (লুটপাট, ধ্বংসাত্মক) কাজে জড়িয়েছে তাদের আমরা আইনের আওতায় আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
যথাসাধ্য চেষ্টার পরও কিছু কিছু ঘটনা ঘটার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন সেনাবাহিনী প্রধান। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, কিছু কিছু ঘটনা ঘটেছে, এটা ঘটার পেছনে কিছু কারণও আছে। পরিস্থিতি এখন অনেক শান্ত হয়ে আসছে।
খুব শিগগিরই পুলিশ তাদের দায়িত্বপালন শুরু করবে আশা প্রকাশ করে সেনাপ্রধান বলেন, পুলিশ পুনর্গঠনের কাজ চলছে। একজন পুলিশপ্রধান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমি নিশ্চিত যে পুলিশের মনোবল আবার ফেরত আসবে, পেশাদার বাহিনী হিসেবে পুলিশ ভালোভাবে আবার তাদের দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবে।
পুলিশের শূন্যতা প্রসঙ্গে ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, পুলিশ কিন্তু ডিউটিতে নেই। পুলিশের মতো একটা ফোর্সের অনুপস্থিতিতে যে শূন্যতা (ভয়েড) সৃষ্টি হয়েছে এই শূন্যতা সেনাবাহিনীর সক্ষমতা দিয়ে পূরণ করা সম্ভব না। তারপরও আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং নৌবাহিনী সর্বদা জনগণের সঙ্গে আছে এবং থাকবে। আমরা সবার সঙ্গে মিলে কাজ করে যাবো। সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারবো বলে আমি বিশ্বাস রাখি।
সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, আগামীকাল (অন্তবর্তীকালীন সরকার) শপথের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। একটা প্রস্তাব ছিল বিকেলে করার। বিকেলে খুব টাইট হয়ে যেতে পারে। উনি (অন্তবর্তী সরকারের প্রস্তাবিত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস) ২টা ১০ এর দিকে এখানে (ঢাকায়) আসবেন। আমরা হয়তো তাহলে রাতের বেলা, রাত ৮টার দিকে করতে পারি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে কতজন উপদেষ্টা থাকবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানান, তার ধারণা আপাতত ১৫ জন হতে পারে।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ