কোটা সংস্কারের আন্দোলনে নিহত চট্টগ্রাম নগরীর এমইএস কলেজের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ শান্তর দাফন বরিশালের বাবুগঞ্জের রহমতপুর ইউনিয়নের মানিককাঠি গ্রামে সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (১৭ জুলাই) মানিককাঠি গ্রামে জোহরের নামাজের পর মানিককাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে শান্তর নামাজে জানাজার পর তার নানা বাড়িতে দাফন সম্পন্ন হয়।
নামাজের জানাজার আগে শান্তর বাবা জাকির হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলে কারও সঙ্গে কোনও ধরনের ছোট-বড় অপরাধ করে থাকলে মাফ করে দেবেন। আমি একজন শহিদের বাবা। আমার ছেলে সত্য প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন করেছে। সেখানে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।’ তিনি হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন।
জাকির হোসেন পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া এলাকায় থাকতেন। তার সন্তান ফয়সাল আহমেদ শান্ত চট্টগ্রামের বাকলিয়া সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) সম্পন্ন করেন। এরপর চট্টগ্রামের এমইসি কলেজে হিসাববিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। লেখাপড়ায় ভালো ছিলেন শান্ত। নামের সঙ্গে তার আচার-আচরণের প্রচুর মিল ছিল। একেবারে শান্ত প্রকৃতির ছেলে ছিল শান্ত।
গ্রামবাসী জানান, মাঝেমধ্যে গ্রামে আসলে তার দেখা মিলতো। তবে তার মধ্যে কোনও ধরনের খারাপ কিছু কখনোই লক্ষ্য করেননি তারা। নামের সঙ্গে হুবহু মিল ছিল শান্তর আচরণের।
প্রসঙ্গত, ষোলশহর রেলস্টেশনে আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ কর্মসূচির স্থানে আগেই লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শিক্ষার্থীরা খণ্ড খণ্ড মিছিলসহকারে ষোলশহরের দিকে আসতে থাকলে একপর্যায়ে মুরাদপুরে হামলে পড়ে তারা। হামলার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই হামলায় শান্তসহ তিন জন নিহত হন।
পূর্বকোণ/পিআর