চট্টগ্রাম শনিবার, ০৬ জুলাই, ২০২৪

নতুন আচরণ বিধিমালার খসড়া

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার বিধান বহাল থাকবে

অনলাইন ডেস্ক

৩ জুলাই, ২০২৪ | ৬:১০ অপরাহ্ণ

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার বিধান বহাল থাকবে। ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ সংশোধন করে প্রতি বছর আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাইরে সরকারি কর্মচারীদের আলাদা করে সম্পদের হিসাব না দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীসময়ে সেই সংশোধিত বিধিমালাটি চূড়ান্ত হয়নি।

 

নতুন করে সরকারি কর্মচারীদের যে আচরণ বিধিমালা করা হচ্ছে সেখানে সম্পদের হিসাব দেওয়ার বিধান বহাল রাখা হচ্ছে। এরই মধ্যে বিধিমালাটি ভেটিং (পরীক্ষা-নিরীক্ষা) করে দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ। তবে নতুন সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা এখনো চূড়ান্ত করেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

 

যদিও ১৯৭৯ সালের বিধিমালা কার্যকর করে সরকারি কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সম্পদের হিসাব নিশ্চিতের জন্য মঙ্গলবার (২ জুলাই) নির্দেশনা দিয়েছেন উচ্চ আদালত। সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ অনুযায়ী, পাঁচ বছর পর পর সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদ বিবরণী দাখিল এবং স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির অনুমতি নেওয়ার নিয়ম রয়েছে।

 

নতুন আচরণ বিধিমালার খসড়ার ১০ বিধিতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক সরকারি কর্মচারী চাকরিতে যোগদানের সময়, সরকার কর্তৃক, সময় সময়, নির্ধারিত ফরমে তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন বা দখলে থাকার শেয়ার সার্টিফিকেট, সিকিউরিটি, বিমা পলিসি এবং অলঙ্কারাদিসহ নগদ রূপান্তরযোগ্য সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির ঘোষণা প্রদান করবেন।

 

এর আগে ২০২১ সালে ১৯৭৯ সালের আচরণ বিধিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার তাগিদ দিয়ে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে চিঠি দিয়েছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপর দফায় দফায় এ বিধিমালার কথা স্মরণ করিয়ে দিলেও কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব নেওয়া যায়নি।সম্প্রতি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও এনবিআরের সাবেক সদস্য মতিউর রহমানের বিপুল অবৈধ সম্পত্তির তথ্য সবার সামনে এলে সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার বিষয়টিও সামনে আসে।

 

 

পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট