চট্টগ্রাম রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪

সর্বশেষ:

সাদেক এগ্রোতে উচ্ছেদ অভিযান, সরানো হলো ১৫ লাখ টাকার সেই ছাগল

অনলাইন ডেস্ক

২৭ জুন, ২০২৪ | ৫:৪৮ অপরাহ্ণ

ঢাকার মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্র খালের জায়গায় নির্মিত ‘সাদিক অ্যাগ্রো ফার্ম’-এ উচ্ছেদ অভিযান চলছে। অবৈধভাবে খাল ও সড়কের জায়গা দখল করে সেখানে রিকশার গ্যারেজ ও বস্তিঘরের মতো অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। সেগুলোতে উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর ১২টার পর সাদিক অ্যাগ্রোর খামারে ভাঙার কাজ শুরু হয়। একপর্যায়ে খামারের আবাসিক কয়েকজন কর্মচারী বাধা দেন। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।

উচ্ছেদ অভিযানের সময় আলোচিত সেই ১৫ লাখ টাকার ছাগলসহ অন্যান্য গবাদিপশু সরিয়ে নেওয়া হয়। যে ‘উচ্চবংশীয়’ ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনায় আসেন এনবিআরের সদ্য সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ওরফে ইফাত।

সরেজমিন দেখা যায়, খাল ভরাট করে নির্মিত বস্তিঘরের বাসিন্দারা ছাউনির টিন ও বাঁশ-কাঠ খুলে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বেলা সাড়ে ১১টার পর ওই স্থানে সিটি করপোরেশনের ভারি যন্ত্র আনা হয়।

কিছুক্ষণ পর আসেন সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম, ঢাকা উত্তর সিটির অঞ্চল-৫–এর নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বির আহমেদসহ অন্য কর্মকর্তারা। পরে অবৈধ স্থাপনা ভাঙার কাজ শুরু হয়।

শুরুতে খামারের পশ্চিম অংশ ভাঙার কাজ শুরু হয়। এর নিচে সাদিক অ্যাগ্রোর কার্যালয় ছিল। আর ওপরে টিনের ছাউনির একটি কক্ষে খামারের কর্মচারীদের থাকার কক্ষ ছিল। দোতলার কক্ষে দুজন অবস্থান নিয়ে উচ্ছেদে বাধা দেন। পুলিশ সদস্যদের সাহায্যে তাদের সেখান থেকে সরানো হয়। পরে ওই অংশ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

এ সময় পেছনের দিকে থাকা অবৈধ স্থাপনাগুলোও ভাঙার কাজ শুরু করেন সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। বস্তিঘর ও রিকশার গ্যারেজের টিনগুলো আগেই সরিয়ে নেওয়ার কারণে শুধু বাঁশের কাঠামোগুলো ছিল। সেগুলো ভেঙে ফেলা হয়।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্তৃপক্ষ জানায়, সাদিক অ্যাগ্রো লিমিটেড অবৈধভাবে খাল ও সড়কের জায়গা দখল করেছে। এছাড়া ওই অংশে রিকশার গ্যারেজ ও বস্তিঘরের মতো বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। সেগুলোই উচ্ছেদ করা হচ্ছে। সাদিক অ্যাগ্রো মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্র খালের জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে।

উচ্ছেদ অভিযান চালানো ঢাকা উত্তর সিটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, কোনো ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই অভিযান চালানো হচ্ছে না। খালের জায়গা যে বা যারা দখল করে রেখেছে, তাদের উচ্ছেদে এ অভিযান চালানো হচ্ছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সাদিক অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক গবাদিপশুর খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি ইমরান হোসেন।

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট