চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

চতুর্থ ধাপে বুধবার ৬০ উপজেলায় ভোট

অনলাইন ডেস্ক

৪ জুন, ২০২৪ | ১১:২৮ অপরাহ্ণ

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ  বুধবার (৫ জুন)। এ ধাপের ভোটের মধ্য দিয়েই ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে স্থগিতকৃত ২০টি উপজেলায় আগামী ৯ জুন ভোটগ্রহণ করা হবে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দেশের ৬০টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনের সব প্রস্তুতি এরইমধ্যেই শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন উপলক্ষে মঙ্গলবার (৪ জুন) রাতেই দুর্গম এলাকার ১৯৭টি কেন্দ্রে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠিয়েছে কমিশন। ভোটের দিন ভোরে বাকি কেন্দ্রগুলোতে এসব সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে।

 

চতুর্থ ধাপে ৬০টি উপজেলায় একজন চেয়ারম্যান, তিন জন ভাইস চেয়ারম্যান ও একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এরইমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৫১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০৫ জনসহ মোট ৭২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৫৮টি পৌরসভা ও ৮৭৪টি ইউনিয়নের ২ কোটি ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ২৫৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৭ হাজার ৮২৫টি। নির্বাচনে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোট বিজিবি মোতায়েন থাকছে ১৬৬ প্লাটুন। ভোটকেন্দ্রে মোট পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে ১৯ হাজার ৪৭৮ জন, মোবাইল টিমে মোট পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে ৬ হাজার ৩ জন, স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোট পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে ২ হাজার ৬৭৩ জন। সর্বমোট পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে ৪১ হাজার ৩৭৯ জন। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোট র‌্যাব মোতায়েন থাকবে ১৫৪টি টিম। ভোটকেন্দ্র এবং মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোট আনসার সদস্য মোতায়ন থাকবে ৬৬ হাজার ৫৭৯ জন। নির্বাচনে স্বাভাবিক এলাকার ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, আনসারসহ মোট ১৭ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। আর গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮-১৯ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। বিশেষ এলাকার (পার্বত্য ও দুর্গম এলাকা) সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০-২১ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

 

প্রথম ধাপের রেকর্ড সংখ্যক কম ভোটের পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে নির্বাচন কমিশন। এর পেছনে কৃষকদের ধানকাটা ও বৃষ্টিসহ পাঁচটি কারণকে দায়ী করে পরে ধাপে ধাপে ভোটার উপস্থিতি আরও বাড়বে বলে আশাবাদী ছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু পরের ধাপেও কাঙ্ক্ষিত ভোটার উপস্থিতি না হওয়ায় সরকারবিরোধী বিএনপির বর্জনকেই মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।       

                 

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে ভোট করার সুযোগ থাকলেও স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বা মনোনয়ন দেয়নি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ফলে আওয়ামী লীগ নেতারা নির্বাচন করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। অপরদিকে বিএনপির অল্প কিছু নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়লেও দলটি উপজেলা পরিষদের ভোট বর্জন করেছে।

পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট