ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালে’র প্রভাবে এরই মধ্যে দুজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া উপকূলীয় এলাকাগুলোর বিভিন্ন জায়গা প্লাবিত হয়েছে। অনেক জায়গায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ঢুকছে পানি।
রোববার (২৬ মে) রাত সাড়ে ৯টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘রিমালে’র অগ্রভাগ অতিক্রম করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রটি আগামী ১-২ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করবে। কেন্দ্র অতিক্রম করার পর শেষ ভাগটি ৩-৫ ঘণ্টা পর বাংলাদেশ অতিক্রম করবে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে নিহতের কোনো খবর আছে কি না এ প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জেনেছি এখন পর্যন্ত দুজন মারা গেছেন। এরমধ্যে একজন মারা গেছেন পটুয়াখালীতে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সব উপকূল এলাকায় বর্তমানে বাতাস বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া উপকূলীয় এলাকাগুলো ব্যাপকভাবে প্লাবিত হয়েছে। অনেক জায়গায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকেছে। এই মুহূর্তে উপকূলীয় এলাকার মানুষজন বিপদের মধ্যে আছেন। লাখ লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।
৯ হাজার আশ্রয়কেন্দ্রে কী পরিমাণ মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে– জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বলেছি দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন। সন্ধ্যার ভেতরে সব মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে। আমি এটা বলতে চাই, ৯ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র উপকূলীয় মানুষজনের জন্য পর্যাপ্ত। এছাড়া আরও একদিন আগে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
পূর্বকোণ/এএইচ