‘টেকসই উন্নয়নের জন্য শিক্ষার একটি অংশ হিসেবে ২০২৫ সালের মধ্যে স্কুল পাঠ্যক্রমে মহাসাগরীয় সাক্ষরতা অন্তর্ভুক্তকরণ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল ১১টায় ঢাকার সেগুন বাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিটিউটের কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের (বিএনসিইউ) উদ্যোগে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামুদ্রিক বিষয়ক ইউনিটের সচিব রিয়ার এডমিরাল মো. খুরশেদ আলম, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট এসএম জাকির হোসাইন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল (বিএনসিইউ) মিজ জুবাইদা মান্নান। সমুদ্র বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিষয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর, অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিগণ ছাড়াও এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিগণ।
এতে জাতিসংঘ ঘোষিত ‘Decade of Ocean Science for Sustainable Development ২০২১-২০৩০-এর লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে Ocean Literacy Action Plan এর অংশ হিসেবে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে স্কুল পাঠ্যসূচিতে সমুদ্র সাক্ষরতা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ইউনেস্কোর ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের জন্য একটি সাধারণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন আয়োজিত গত ২২ ফেব্রুয়ারি এর মতবিনিময় সভায় সমুদ্র সাক্ষরতাকে কিভাবে বাংলাদেশের স্কুল পাঠ্যক্রমে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা যায় এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পরামর্শের বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়। প্রথম সভার নির্দেশনার আলোকে বাংলাদেশের জাতীয় মহাসাগর দশক কমিটি গঠন ও বিষয় সংশ্লিষ্ট সমুদ্র বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে কিভাবে ও কোন প্রক্রিয়ায় সমুদ্র সাক্ষরতাকে বাংলাদেশ স্কুল পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা যায় এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞগণ অভিমত ব্যক্ত করেন। এছাড়া টেকসই উন্নয়নে সমুদ্রের ভূমিকা, মানুষের উপর সমুদ্রের প্রভাব ও সমুদ্রের উপর উপর মানুষের প্রভাব তথা সমুদ্র দূষণ, রক্ষণাবেক্ষণসহ নানা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।
পূর্বকোণ/পিআর /এএইচ