দ্বাদশ জাতীয় সংসদ এবং সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমরা স্পষ্টভাষায় একথা বলে দিতে চাই, আপনাদের যে সরকার, আপনারা যে সংসদ গঠন করেছেন সেটা জনগণেরর সংসদ নয়, সেটা জনগণের সরকার নয়।
“আপনারা দেখছেন এখন রাজপথে একটি দলের (লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি) কালো পতাকা মিছিল যাচ্ছে.. এই সরকারকে রাজপথে বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। আমি এই প্রতিবাদী মানুষদের অভিনন্দন জানাই।”
জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-জেটেব এর উদ্যোগে শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণে এই অনুষ্ঠান হয়।
‘একতরফা’ নির্বাচনের প্রতিবাদে শুক্রবার জেলায় জেলায় এবং শনিবার ঢাকাসহ মহানগরগুলোতে কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি রেখেছে বিএনপিসহ সমমনা দল এবং জোট।
আবদুল মঈন খান বলেন, “এখানে ৭ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হয় নাই, এখানে ইলেকশনের নামে সিলেকশন হয়েছে। এটা শুধু বিএনপি বা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষই শুধু বলে নাই, আওয়ামী লীগের যারা ভোটার ছিল, তারাও এই নির্বাচনে যায় নাই। কারণ তারা জানে এই নির্বাচনে কে নির্বাচিত হবে, যে নির্বাচিত হবে সেটা ভোট দিয়ে নির্বাচিত হবে না…সেটা নির্ধারিত হয়েছে রাজধানী থেকে।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, “বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য, বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল এদেশের দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। আজকে সরকার পদ্মাসেতু করেছে ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে, মেট্রোরেল তৈরি করেছে ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে। আমরা ছোট্ট প্রশ্ন- ৪০ হাজার, ৩০ হাজার কোটি টাকা আপনারা খরচ করতে পারলে বাংলাদেশের শীতার্ত মানুষদের একশ টাকার একটা কম্বল কেন দিতে পারেন না? কেন এখানে দাঁড়িয়ে আমাদের কম্বল বিতরণ করতে হচ্ছে?”
জেটেবের সভাপতি ফখরুল আলমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন আখন্দের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সভানেত্রী জাহানারা বেগম, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পূর্বকোণ/এএইচ