চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

এ বছরই বিসিবি সভাপতির পদ ছাড়তে চান পাপন

অনলাইন ডেস্ক

১২ জানুয়ারি, ২০২৪ | ৮:০২ অপরাহ্ণ

নতুন মন্ত্রিপরিষদে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। মন্ত্রীসভার সদস্য হয়ে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, এ বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির পদ ছাড়তে চান।

 

যদিও মন্ত্রিত্ব ও বিসিবির সভাপতি পদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো ব্যাপার নেই। চাইলে দুই দায়িত্ব একসঙ্গে পালন করতে পারবেন পাপন। তবে তাঁর মন্ত্রণালয়ের অধীনে সব ক্রীড়া ফেডারেশন-সেখানে তিনি যদি ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্বেও থাকেন, ক্রিকেটপ্রীতি নিয়ে যেকোনো সময় প্রশ্ন ওঠাও অবান্তর নয়! সেটি নিজেও বিশ্বাস করেন বিসিবি সভাপতি।

 

আজ শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) জুমার নামাজের পর বনানী কবরস্থানে মা-বাবার কবর জিয়ারত করে সংবাদমাধ্যমকে পাপন বলেছেন, আইনে কোনো সমস্যা নেই, এটাই হচ্ছে বড় কথা। কথা হচ্ছে, এক সঙ্গে যদি দুটোতে থাকি তাহলে স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে, ক্রিকেটের প্রতি আমার দৃষ্টিটা একটু বেশি। এটা সকলের ধারণা, এটা অস্বাভাবিক কিছু না।

 

যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া পাপন জানিয়েছেন, আইসিসির কিছু নিয়মকানুন আছে। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার বেশ কিছু কমিটিতে আছেন তিনি। কোথাও আবার চেয়ারম্যান পদেও আছেন। চাইলেই এখন বিসিবির পদ থেকে দ্রুত বের হতে পারবেন না। আইসিসির নিয়ম অনুসরণ করতে হবে তাঁকেও। তিনি বলেছেন, আইসিসির মেয়াদটা শেষ হয়ে গেলে তখন একটা কিছু চিন্তা করে ওদের সঙ্গে কথা বলে বের হয়ে আসার সুযোগ আছে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই এখন যারা বোর্ডের পরিচালক আছেন তাদের মধ্যে থেকে একজন হবে (বিসিবি সভাপতি)। মানে বাইরে থেকে কারও আসার কোনো সুযোগ নেই।

 

নিয়ম না মানায়, সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা ও তার আগে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটকে নিষিদ্ধ করেছিল আইসিসি। ফলে ইচ্ছে করলেই এখন দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া যায় না বললেন পাপন, এখানে মূলত কয়েকটা ব্যাপার আছে, প্রথম কথা হচ্ছে, ইচ্ছে করলেই দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া যায় না এখন। সেটা আমরা জিম্বাবুয়ের ক্ষেত্রেও দেখেছি, দুই বছর তারা প্রায় নিষিদ্ধ, শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও এবার দেখেছি। আমি মনে করি, এমন কিছু তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না, যেটা দেশের ক্রিকেটের ক্ষতি করতে পারে। তবে অপশন কি কি আছে, সেটা দেখতে হবে। একটা অপশন ওদের সঙ্গে আমার কথাটা বলতে হবে। এখানে দুটো জিনিস আছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটা হচ্ছে আমাদের মেয়াদ, যেটা সবসময় আইসিসি চায় তাদের ইলেকটেড বডির (নির্বাচিত কমিটি) পূর্ণ মেয়াদটা। আর একটা হচ্ছে আইসিসির মেয়াদ।

 

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট