চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

সংকট নিরসনের সামর্থ্য বা ম্যান্ডেট কোনোটাই আমাদের নেই: সিইসি

অনলাইন ডেস্ক

৪ নভেম্বর, ২০২৩ | ১০:০৮ অপরাহ্ণ

নির্বাচন নিয়ে ২৬টি দলের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকের সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক যে সংকটগুলো আছে— আমরা বলেছি, সে বিষয়ে আমাদের প্রত্যাশা সবসময় ইতিবাচক। কিন্তু সেই সংকট নিরসনের সামর্থ্য আমাদের নেই, সেই ম্যান্ডেটও নেই।’

 

শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করে ইসি। ২ দফায় বৈঠকে অংশ নেয় ২৬টি রাজনৈতিক দল। তবে বিএনপিসহ অন্যান্য দল বৈঠকে আসেনি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকের সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে উপলক্ষ করেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সভার আয়োজন করেছি। আমাদের উদ্দেশ্য— এ যাবৎ আমরা যে প্রস্তুতি নিয়েছি সেগুলো অবহিত করা এবং মতামত গ্রহণ করা। আমাদের মিথষ্ক্রিয়া হয়েছে, আমরা আমাদের মতামত জানিয়েছি।’

 

আজ ২৬টি দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আলোচনা যথেষ্ট ইতিবাচক ছিল। কেউ কেউ পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। অধিকাংশ আমাদের অবস্থান বুঝেছেন। নির্বাচনের পরিবেশ অনুকূল নয়, কিছু কিছু দল এখনও অংশ নিতে পারছে না— আমরা সেটি স্বীকার করেছি। পরিবেশ অনুকূল-প্রতিকূল হওয়ার বিষয়টি আপেক্ষিক।’

 

সংকট নিরসনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের প্রসঙ্গে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সংকট নিরসণে আপনারও (রাজনৈতিক দলের নেতারা) চেষ্টা করতে পারতেন। নির্বাচন বিষয়ে বিদেশিরা এসে অনেক পরামর্শ দিচ্ছেন, অথচ আপনারা (রাজনৈতিক নেতারা) দিতে পারছেন না। আপনার রাজনৈতিক নেতা হিসেবে এই দায়িত্ব নিতে পারতেন, নিজেদের মধ্যে সংলাপ করে একটা অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে বারবার চেষ্টা করতে পারতেন।’

 

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসির সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে প্রার্থীদেরও দায়িত্ব নেওয়ার পরামর্শ সিইসির

হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন— নির্বাচন কমিশন এককভাবে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেবে। আমরা বলেছি— নির্বাচন কমিশনের সামর্থ্য অত্যন্ত সীমিত, আমরা নির্বাচন আয়োজন করবো। কিন্তু নির্বাচন পরিচালনার যে দায়িত্ব, সেটা আমাদের হস্তান্তর করে দিতে হয়। যাদের কাছে আমরা হস্তান্তর করবো, তাদের ওপর আমাদের নজরদারি থাকবে। তবে সবচেয়ে বড় নজরদারি থাকতে হবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং তাদের দলের।’

 

দলীয় কিংবা স্বতন্ত্রপ্রার্থীদের নির্বাচনি এলাকায় প্রতিটি কেন্দ্রে অবশ্যই পোলিং এজেন্ট দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পোলিং এজেন্ট দিয়ে তাদের স্ব স্ব স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। পোলিং এজেন্ট যদি বিক্রি হয়ে যান, আমাদের করার কিছু থাকবে না। পোলিং এজেন্ট যদি আপনাদের প্রোটেক্ট করতে না পারে, ঢাকা থেকে আমরা পারবো না।’

 

আগামী নির্বাচন সবার সক্রিয় অংশগ্রহণে ও সক্রিয় দায়িত্বপালনের মাধ্যমে অবাধ নিরপেক্ষ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি এককভাবে সব কিছু ঠিক করে দেবো; তা না। তাদের (প্রার্থী) স্ব স্ব অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাহলেই আগামী নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু হবে। আর আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছি— আমাদের স্পেস ও সময় সীমিত। আমাদের জন্য সময়সীমা সংবিধানে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।’

 

ইসির বৈঠকে বিএনপির অংশগ্রহণ না করা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা আমাদের অবস্থান থেকে সবসময় বলেছি, সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করি; কেউ পছন্দ করুক বা না করুক। আমরা নির্বাচনের আয়োজন করবো, তাদের প্রতি (বিএনপি) উদাত্ত আহ্বান থাকবে— আপনারা আসুন, কীভাবে আসবেন, সেই কোর্স আমরা চার্ট করে দিতে পারবো না। আপনার আসুন, আমাদের শুভ কামনা থাকবে।’ সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

 

পূর্বকোণ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট