দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। গাণিতিক মডেল অনুসারে, আগামী ২৪ ঘণ্টা এটি আরও ঘণীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
আজ রবিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-১) এ তথ্য জানিয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘নিম্নচাপটি ছয় কিলোমিটার বেগে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে আসছে।’
তিনি বলেন, ‘অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে নিম্নচাপের বডি মুভমেন্ট কখনো বাড়ে, কখনো কমে যায়। যদি এই গতিতেই এগোতে থাকে তাহলে আগামী ২৬ অক্টোবর সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে এটি স্থলভাগে উঠে আসবে।
‘আগামী ২৪ ঘণ্টায় নিম্নচাপটি শক্তি সঞ্চয় করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এর পরে এটি দিক পাল্টে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে,’ বলেন তিনি।
অক্টেবর-নভেম্বর ঘূর্ণীঝড় প্রবণ মাস, নিম্নচাপটি ঘূর্ণীঝড়ে রূপ নিতে পারে কি না- তা আগামী ২৪ ঘণ্টা পরে বোঝা যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গাণিতিক মডেল বলছে, ঘূর্ণীঝড়ে রূপ নিলেও এটি অতি প্রবল ঘূর্ণীঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা কম।
আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘গভীর নিম্নচাপে পরিণত হলে সাগরে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হবে। এর অগ্রভাগের প্রভাবে আগামীকাল থেকে দক্ষিণাঞ্চের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিপাত শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে থাকবে।
‘গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে অধিদপ্তর জানিয়েছে, এদিন সকাল ৬টায় নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪০ কিলোমিটার ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৮৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে এবং মোংলা থেকে ৯৩৫ কিলোমিটার ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
নিম্নচাপের কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা ঝড়ো হাওয়া আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নিম্নচাপের কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পূর্বকোণ/এএইচ