চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

বঙ্গবন্ধুকে মরতে হয়েছে হাসানুল হক ইনুদের জন্য: কাদের সিদ্দিকী

অনলাইন ডেস্ক

১৫ অক্টোবর, ২০২৩ | ১০:০৯ অপরাহ্ণ

হাসানুল হক ইনুদের জন্য, জাসদের জন্য বঙ্গবন্ধুকে মরতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। 

রবিবার (১৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে দলটিতে জনপ্রিয় গায়ক ও গীতিকার-সুরকার নকুল কুমার বিশ্বাসের যোগদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘লতিফ (সিদ্দিকী) ভাইয়ের সঙ্গে আমার সবসময় বিরোধ আছে। মরা পর্যন্ত থাকবে। হাসানুল হক ইনুরা ডাকলে বড় ভাই যাবে। আমি মরলেও যাবো না। হাসানুল হক ইনুদের জন্য, জাসদের জন্য বঙ্গবন্ধুকে মরতে হয়েছে। অন্য কারও জন্য নয়।’

তিনি বলেন, ‘হাসানুল হক ইনু জিয়াউর রহমানকে ১৭ নভেম্বরের ক্যু এর মাধ্যমে যেদিন বের করে আনা হয় সেদিন ট্যাঙ্কের ওপর নেচেছিলেন। আমার বোন শেখ হাসিনা তাকে মেনে নিতে পারে, আমি কাদের সিদ্দিকী বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সন্তান, আমি এক দিনের জন্যও তাকে মেনে নেবো না।’

মতিয়া চৌধুরী প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি মতিয়া চৌধুরীর কথা বলি কারও কারও কষ্ট হয়, কেউ মনে করে এতে শেখ হাসিনা অসন্তুষ্ট হতে পারে, হতেই পারে। শেখ হাসিনার অসন্তুষ্টির জন্য আল্লাহর অসন্তুষ্টি মেনে নেবো এই মানসিকতা নিয়ে আমি জন্মগ্রহণ করি নাই।’

তিনি বলেন, ‘মতিয়া চৌধুরী এখন বুড়ো হয়ে গেছে, তাও গলায় যে জোর। যৌবনকালে তার গলায় কী জোর ছিল তা আমি শুনেছি, আপনারা নাও শুনতে পারেন। শেখ মুজিবের পিঠের চামড়া দিয়ে তিনি ডুগডুগি বাজাবেন, জুতা বানাবেন। সেই মানুষকে দুনিয়ার সবাই মেনে নিতে পারে, আমি মেনে নিতে পারি না।’

নকুল কুমার বিশ্বাস বলেন, “আমি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কাজ করতে চাই বলে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম। পরে বড় একটা দল থেকে ফোন এলো। আমি বললাম, কয়েকমাস আগেও আমি ‘ইনটেক’ ছিলাম এখন আমি ‘টেক’ হয়ে গেছি।’ তিনি গানে গানে বলেন, ‘আমি হতে চাই না কোনও নেতার চামচা, তাই বুঝে শুনে বুকে তুলেছি বঙ্গবীরের গামছা।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর বহিষ্কৃত সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী প্রমুখ।

 

পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট