বিশ্বের ৩৩তম পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারকারী দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। রাশিয়া থেকে আসা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর কাল।
দুই হাজার ৪শ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে সাতটি প্যাকেজে ১ হাজার ৯৪ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ কাজ করছে দেশের বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)।
এই কাজের প্রায় ৮৬ শতাংশ শেষ করার কথা জানিয়েছেন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ ইভাকুয়েশনের জন্য সঞ্চালন লাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক কিউএম শফিকুল ইসলাম। কিউ এম শফিকুল ইসলাম মঙ্গলবার বিকালে ইত্তেফাককে জানান, সব মিলিয়ে সঞ্চালন লাইনের কাজ ৮৬ শতাংশ শেষ হয়েছে। মূলত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাথে মিল রেখে সঞ্চালন লাইন নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। যথা সময়ে সঞ্চালন লাইন নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
তথ্যমতে, ১ হাজার ৯৪ দশমিক ৪১৬ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে দুই ফেজে। এর মধ্যে ৪০০ কেভির সঞ্চালন লাইন রয়েছে ৬৪৮ কিলোমিটার এবং ২৩০ কেভির সঞ্চালন লাইন রয়েছে ৪শ ৪৬ দশমিক ৪১৬ কিলোমিটার। ৪০০ কেভির ৯০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরে শেষ হবে। অবশিষ্ট ৫৫৮ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইনের নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২৪ সালের মার্চ-এপ্রিল মাসের মধ্যে। এছাড়া ২৩০ কেভির ১৩০ দশমিক ৬২ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইনের কাজ গত বছরের জুনে শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট ৩শ ১৬ দশমিক ৩৫৪ কিলোমিটার কাজ ২০২৪ সালের মার্চে সম্পন্নের আশা করছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা পাওয়ার গ্রিড।
পাওয়ার গ্রিড জানিয়েছে, রূপপুর থেকে বাঘাবাড়ী পর্যন্ত ৬৫ দশমিক ৩১ কিলোমিটার ডাবল সার্কিট লাইন, আমিনবাজার থেকে কালিয়াকৈর পর্যন্ত ৫১ কিলোমিটার, রূপপুর থেকে ঢাকা (আমিনবাজার-কালিয়াকৈর) ১৪৭ কিলোমিটার, রূপপুর থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত ১৪৪ কিলোমিটার, রূপপুর থেকে ধামরাই পর্যন্ত ১৪৫ কিলোমিটার এবং বগুড়া পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ হচ্ছে।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ