চট্টগ্রাম রবিবার, ০৫ জানুয়ারি, ২০২৫

সর্বশেষ:

টাকি মাছের ভর্তা-ভাত খেয়ে একে একে প্রাণ হারালেন দুই বোন

অনলাইন ডেস্ক

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ১০:৪০ অপরাহ্ণ

মায়ের হাতে বানানো পছন্দের টাকি মাছের ভর্তা-ভাত খেয়ে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। এমন মর্মান্তিক ঘটনা নাটোরের সিংড়া উপজেলায়। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা একে খাদ্যে বিষক্রিয়া বলে ধারণা করছে।

স্বজনরা জানিয়েছেন রাতে উপজেলার রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নের মালকুড় গ্রামে নিজ বাড়িতে খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে মোছাঃ ফিমা খাতুন (১৫) ও ফারিয়া খাতুন (১০) কে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় রাতেই চিকিৎসার জন্য বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বিজরুল হাসপাতালে নেয়ার পর ফিমা খাতুন মারা যায়। 
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারিয়া খাতুনের মৃত্যু হয়। তবে তাদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সুষ্পষ্ট ভাবে বলতে পারেনি কেউ। পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ প্রাথমিক তদন্তে খাদ্যে বিষক্রিয়ার তথ্য পেলেও ময়নাতদন্তর পর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তারা।

নিহত ফিমা খাতুন ও ফারিয়া খাতুন ওই গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. নাজিম উদ্দিনের দুই মেয়ে। 

ওসির দায়িত্বে থাকা সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম ও রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন জানান, প্রতিদিনের মত রাতে দুই বোন নিজ ঘরে পড়াশুনা করছিল। এসময় তাদের মা খাবার খেতে বললে তারা টাকি মাছের ভর্তা দিয়ে ভাত খেয়ে শুয়ে পড়ে। রাত ১১টার দিক তারা দুইজনই পেটে ব্যথা অনুভব করে এবং বমি করতে থাকে। 

একপর্যায়ে স্বজনরা টের পেয়ে তাদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত নন্দীগ্রাম উপজেলার বিজরুল হাসপাতালে ভর্তি করলে রাত দেড়টার দিকে মোছাঃ ফিমা খাতুন (১৫) মারা যায়। আর ফারিয়ার অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মারা যায় ফারিয়া।

পুলিশ পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক রেদওয়ানুর রহিম চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়া ফারিয়া খাতুন নামে রোগীর মৃত্যুর কারণ বলে প্রাথমিক তদন্তে তারা পেয়েছেন। তবে ময়নাতদন্তের পর এ মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। নিহতের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ তোফাজ্জল হোসেন মন্ডল জানান, নন্দীগ্রাম উপজেলার বিজরুল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ফিমা খাতুন খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত ছিল। তবে তার ময়নাতদন্তের পর সঠিক কারণ জানা যাবে। তিনি বলেন, রান্না করা খাবার খোলা থাকায় টিকটিকি বা কোনো প্রাণীর প্রসাব-পায়খানা খাবারে পড়ে বিষক্রিয়া হয়ে থাকতে পারে।

পূর্বকোণ/আরআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট