চট্টগ্রাম বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

সাইবার সিকিউরিটি আইনও কালো আইন হিসেবে চিহ্নিত হবে: টিআইবি

অনলাইন ডেস্ক

৩০ আগস্ট, ২০২৩ | ২:৪৫ অপরাহ্ণ

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, সাইবার সিকিউরিটি আইনের যে খসড়া করা হয়েছে, তা যদি কার্যকর হয় তাহলে এই আইনও কালো আইন হিসেবে চিহ্নিত হবে। এখানেও বাক স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হবে।

বুধবার (৩০ আগস্ট) ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবি আয়োজিত ‘খসড়া সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩: পর্যালোচনা ও সুপারিশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, খসড়া সাইবার নিরাপত্তা আইনটি যদি কার্যকর করা হয় তাহলে এটাকে নিবর্তনমূলক আইন বলা ছাড়া আর কোনো কিছু বলার উপায় থাকবে না। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের শাস্তি পরিবর্তনের নামে বা কিছুটা কমিয়ে এনে, কিছু ধারার পরিবর্তন করার নামে শুধু খোলস পরিবর্তন করা হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা আইনটির খসড়ায় আগের আইনের মূল বিষয়গুলো অপরিবর্তিত আছে।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনের মূল যে উদ্দেশ্য সেখানে কিন্তু মানুষের বাক স্বাধীনতা, মত প্রকাশের অধিকার খর্ব করে এমন বিষয় থাকার কথা নয়। যদি আমরা মত প্রকাশের নামে বা তথ্য প্রকাশের নামে কারও অধিকার হরণ করি, কারও মানহানি করি এর জন্য কিন্তু আমাদের প্রচলিত আইন আছে। প্রচলিত আইনে বিচার হতে পারে। সাইবার সিকিউরিটি আইনে এই বিচার করার দরকার আছে বলে আমরা মনে করি না।

টিআইবি নির্বাহী পরিচালক বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট অংশীজন যারা আছেন, যারা বিশেষজ্ঞ, এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা আছে তাদের সঙ্গে নিয়ে সাইবার সিকিউরিটি আইনের যেমন চর্চা থাকে, যেমন উদ্দেশ্য থাকে সব বিষয় বিবেচনা করে এই আইনের খসড়াকে ঢেলে সাজাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, খসড়া সাইবার নিরাপত্তা আইনে আগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো দুর্বলতা রয়ে গেছে। দুর্বলতা বললে কম হয়ে যায়, অর্থাৎ যেসব কারণে সাধারণ মানুষের উদ্বেগ ছিল আগের আইনে, নতুন খসড়াতেও সেসব বিষয় রয়ে গেছে। যার মধ্যে অন্যতম বাকস্বাধীনতা, মত প্রকাশের অধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এই বিষয়গুলো খর্ব করার মতো অনেক উপাদান এই খসড়া আইনে রয়ে গেছে। যদিও শাস্তির পরিমাণ কমান হয়েছে, এতে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু অন্যদিক থেকে এটা নিবর্তনমূলক আইন হচ্ছে।

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট