বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ আগামী ১২ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল।
কিন্তু বিএনপি নেত্রীর আইনজীবী অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন বলে সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি রাখার জন্য সময় আবেদন করেন। পরে আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আবেদন মঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পরবর্তী তারিখ হিসেবে ১২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর এই মামলা করে দুদক। এরপর ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২৩ সালে মামলাটিতে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযুক্তদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।
বর্তমানে মামলাটিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজন আসামি রয়েছেন। বাকি সাতজন হলেন- তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
পূর্বকোণ/এসি