চট্টগ্রাম সোমবার, ০৭ অক্টোবর, ২০২৪

সর্বশেষ:

১৬ বছরে ১০ বার মেডিকেলের প্রশ্ন ফাঁস, ডাক্তারসহ গ্রেপ্তার ১২

অনলাইন ডেস্ক

১৩ আগস্ট, ২০২৩ | ৬:৪৩ অপরাহ্ণ

২০০১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ১০ বার মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি)। এই দীর্ঘ সময়ে শত শত শিক্ষার্থীকে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে।

 

রবিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে সিআইডির কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া। গ্রেপ্তারকৃতরা বিভিন্ন মেডিকেল ভর্তি কোচিং ও প্রাইভেট পড়ানোর আড়ালে প্রশ্নফাঁস করতেন। ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িত সাত ডাক্তারসহ চক্রের ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সংস্থাটি।

 

গত ৩০ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, বরিশাল জেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে সিআইডির সাইবার টিম।

 

গ্রেপ্তার চিকিৎসকরা হল- ময়েজ উদ্দিন আহমেদ প্রধান (৫০), সোহেলী জামান (৪০), মো. আবু রায়হান, জেড এম সালেহীন শোভন (৪৮), জোবাইদুর রহমান জনি (৩৮), জিল্লুর হাসান রনি ও ইমরুল কায়েস হিমেল (৩২)।

 

গ্রেপ্তার অন্যরা হল- জহির ইসলাম ভূঁইয়া মুক্তার (৬৮), রওশন আলী হিমু (৪৫), আক্তারুজ্জামান তুষার (৪৩), জহির উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী (৪৫) ও আব্দুল কুদ্দুস সরকার (৬৩)।

 

এদের মধ্যে ৮ জন আদালতে দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। যাতে উঠে এসেছে শতাধিক শিক্ষার্থীর নাম। তাদের কেউ মেডিকেলে পড়ছেন, কেউ পাশ করে বেড় হয়েছেন। ফাঁসকৃত প্রশ্নে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থীদেরও আনা হবে আইনের আওতায়।

 

সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, ২০০১ থেকে পরবর্তী ১৬ বছরে চক্রের সদস্যরা ১০ বার মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন বলে তারা জানতে পেরেছেন। শিক্ষিত লোকজন এই চক্রে জড়িত। প্রশ্নপত্র ফাঁস করে তাঁরা বিপুল অর্থের মালিক হয়েছেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে অনেক ব্যাংক চেক ও পরীক্ষার প্রবেশপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। চক্রের সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বিশ্লেষণ করে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। তারা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ করেছেন কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে।

 

এ প্রশ্ন ফাঁস চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসীম উদ্দিন ভূইয়ার কাছ থেকে একটি গোপন ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে। যেখানে সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা তার চক্রের অন্যান্য সদস্যদের নাম রয়েছে। সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলেও জানান সিআইডি প্রধান।

 

গ্রেপ্তারদের বিষয়ে সিআইডি জানায়, মেডিকেল প্রশ্ন ফাঁস চক্রে রয়েছেন চিকিৎসক স্বামী-স্ত্রী। স্বামী চিকিৎসক ময়েজ উদ্দিন আহমেদ প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের অন্যতম হোতা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করে ফেইম নামক কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে মেডিকেল প্রশ্ন ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়ান। এর মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে অবৈধভাবে শত-শত শিক্ষার্থীকে মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছেন।

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট