চট্টগ্রাম সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

শোকাবহ আগস্ট : দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ছিলেন বঙ্গবন্ধু

নিজস্ব প্রতিবেদক 

১৩ আগস্ট, ২০২৩ | ১২:৩৫ অপরাহ্ণ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা এনে দেওয়ার পর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া বাংলাদেশকে গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন। তবে সে কাজে সম্পদ আর দক্ষ জনবলের অভাবের পাশাপাশি অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায় দুর্নীতি। এসময় দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার সংগ্রামের পাশাপাশি ঘুষ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে নতুন সংগ্রামের ডাক দেন তিনি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু কতটা সোচ্চার ছিলেন, তা আলোচনায় এসেছে সামান্যই। বঙ্গবন্ধুর ভাষণগুলো লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে তরুণ বয়স থেকে শুরু করে জীবনের শেষ পর্যন্ত সোচ্চার ছিলেন তিনি। দুর্নীতিকে দেশের এক নম্বর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন তিনি।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগের সময়গুলোতে দেখা যায় বেশ কয়েকটি বড় দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসে এবং ব্যবস্থা নিতেও দেখা যায়। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও রাজনীতি নিয়ে যারা গবেষণা করেছেন তারা বলছেন, দেশব্যাপী ‍দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার যে অবস্থান, সেটি তাকে ‘অজনপ্রিয়’ করে তুলেছিল। তিনি নিজে একাধিকবার বলেছেন ‘সবাই পায় সোনার খনি, আমি পেয়েছি চোরের খনি।’

রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নবনিযুক্ত জেলা গভর্নরদের প্রতি সমূলে দুর্নীতি উৎখাতের তীব্র অভিযান শুরু করার নির্দেশ দেন। ১৯৭৫ সালের ২২ জুলাইয়ের পত্রিকায় তাঁর সেই নির্দেশের খবর ছাপা হয়। গভর্নরদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের অবশ্যই স্বজনপ্রীতি, পক্ষপাত এবং অন্যান্য ধরনের দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থাকতে হবে।’ নবনিযুক্ত গভর্নরদের জন্য বঙ্গভবনে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা স্মরণ করিয়ে দেন। সমাজ থেকে উৎকোচ ও দুর্নীতি উচ্ছেদের উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘প্রত্যেকের ওপরই আমার আস্থা আছে। যারা আমার আহ্বানে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, তারা এ কাজ সমাধা করতে পারবেন।’

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট