স্বাধীন দেশের মাটিতে পা রেখে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ভিক্ষুক জাতির নেতা থাকতে চাই না। আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে নিজেদের পায়ের ওপর দাঁড়াতে হবে। একই সময় বিদেশি বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, আমি দুনিয়ার প্রত্যেক রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই, কারো সঙ্গে দুশমনি করতে চাই না। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে আমরা শান্তি চাই। আমার মানুষ দুঃখী, আমার মানুষ না খেয়ে কষ্ট পায়।
এরপর বঙ্গবন্ধু প্রায় প্রতিটি ভাষণেই দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তৈরির জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ১৯৭৫ সালে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকের আগে ভাষণে তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষ। আমাদের মাটি আছে, আমার সোনার বাংলা আছে, আমার পাট আছে, আমার গ্যাস আছে, আমার চা আছে, আমার ফরেস্ট আছে, আমার মাছ আছে, আমার লাইভস্টক আছে। যদি ডেভেলপ করতে পারি তবে ইনশাআল্লাহ এ দিন থাকবে না। আমি বুদ্ধিজীবীদের কিছু বলি না। তাদের সম্মান করি। শুধু এটুকুই বলি যে, বুদ্ধিটা জনগণের খেদমতে ব্যয় করুন। যে যেখানে আছি, একতাবদ্ধ হয়ে দেশের কাজে লাগতে হবে।
১৯৭৪ সালে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ভাষণে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাবারা, একটু লেখাপড়া শিখ। যতই জিন্দাবাদ আর মুর্দাবাদ কর, ঠিকমতো লেখাপড়া না শিখলে কোনো লাভ নেই। আর লেখাপড়া শিখে যে সময়টুকু থাকে বাপ-মাকে সাহায্য কর। প্যান্ট পরা শিখেছ বলে বাবার সঙ্গে হাল ধরতে লজ্জা করো না।
ঘাতকের নির্মম বুলেটে সপরিবারে প্রাণ হারানোর ৪১ বছর পর আজও বাঙালির প্রতীক বঙ্গবন্ধু। ইতিহাসের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই বীরের জাতি হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
পূর্বকোণ/মাহমুদ