জুলাই মাসে সারাদেশে ৫১১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৭৩ জন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১ হাজার ২৫৬ জন। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেলে। ১৮৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৮৩ জন।

আজ সোমবার (৭ আগস্ট) বেসরকারি সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে সংগঠনটি।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, গত মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ১৮ দশমিক ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সংগঠনের তথ্যমতে, গত জুনে গড়ে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৭ দশমিক ২ জন। আর গত মে মাসে গড়ে প্রতিদিন নিহত হন ১৩ দশমিক ১৬ জন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই মাসে মোট সড়ক দুর্ঘটনার মধ্যে মোটরসাইকেলে দুর্ঘটনা ৩৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ। দুর্ঘটনায় মোট নিহতের মধ্যে মোটরসাইকেলে নিহত ৩১ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দুর্ঘটনায় ১৪৬ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭৮ জন, যা মোট নিহতের ১৩ দশমিক ৬১ শতাংশ। এ ছাড়া ১৪টি নৌ দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত, ২৩ জন আহত এবং ১১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ৩৩টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন বলছে, বাসযাত্রী ৪৯ জন, ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ৩৬ জন, প্রাইভেট কার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স-জিপ আরোহী ২৩ জন, থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-ম্যাক্সি-লেগুনা) ১০৩ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নছিমন-ভটভটি-টমটম-মাহিন্দ্রা-লাটাহাম্বা) ২২ জন এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশা ভ্যান আরোহী ১১ জন নিহত হয়েছেন।

সংগঠনটির পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২০৮টি ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কে। এ ছাড়া আঞ্চলিক সড়কে ১৯৬টি, গ্রামীণ সড়কে ৬১টি, শহরের সড়কে ৪২টি এবং অন্যান্য স্থানে ৪টি দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার ধরন নিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ৯৮টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২১৭টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১৪৪টি পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়া, ৩৩টি যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১৯টি অন্যান্য কারণে ঘটেছে।

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ