আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন বিচারকদের উদ্দেশে বললেন, আপনার আদালতে এমন একজন ব্যক্তির মামলার শুনানি হচ্ছে, যিনি বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিষয়টি জাতিসংঘ সম্পূর্ণটাই অবগত। তারা লিগ্যাল বিষয়ে কনর্সানড। জাতিসংঘ মহাসচিব এ মামলার বিচার পর্যবেক্ষণ করছেন।
সোমবার (৭ আগস্ট) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি সাহেদ নুর উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই শুনানি হয়।
ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আগামীকাল আবোরো মহমান্য আদালত বিষয়টি শুনবেন। গত বৃহস্পতিবারও শুনেছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলাল শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
এ মামলায় অভিযোগ গঠনের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে এসেছিলেন ইউনূস। তার আবেদনে গত ২৩ জুলাই রুল জারি করে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি আশিষ রঞ্জন দাশের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
শ্রম আদালতে অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় ওই রুলে।
রাষ্ট্রপক্ষ ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ছয় বিচারকের আপিল বেঞ্চ গত ৩ অগাস্ট রুল শুনানির জন্য বেঞ্চ বদলে দেয়।
সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে বলা হয়, বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ওই রুলের ওপর শুনানি শেষ করতে হবে।
এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এর আগেও হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন ইউনূস। সেই প্রশ্নে রুল শুনানি করে বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের বেঞ্চ ২০২২ সালের গত ১৭ অগাস্ট তা খারিজ করে রায় দেয়। ফলে এ মামলায় অভিযোগ গঠনের পথ খোলে।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ