রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে টানাবর্ষণের পরও ৫০০ পরিবার পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস করছে। যেকোন সময় বড় ধরনের পাহাড় ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে কাপ্তাই কার্গোর নিচে পাহাড়ের একটি গাছ ধসে ঘরের ওপর পড়ে। এতে ঘরটি সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়।
কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে বারবার মাইকিং ও সর্তক করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৫টি ইউনিয়নে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তার মধ্যে কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫৫ জন অবস্থান করছে। এছাড়া বাকিদের আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসতে প্রচারণা অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন বলেন, ইতোমধ্যে কাপ্তাই উপজেলায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের নিরাপদস্থানে নিয়ে আসতে উপজেলা প্রশাসন ও কাপ্তাই তথ্য অফিস প্রতিনিয়ত প্রচারণা ও মাইকিং চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া কাপ্তাইয়ের নতুন বাজার সংলগ্ন ঢাকাইয়া কলোনি এবং আফছারের টিলা নামক এলাকা পাহাড় ধসের বেশ ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে প্রায় ৫৫ জন গত শুক্রবার থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে তাদের খাবার বিতরণও করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ইউনিয়নেও আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে বলে তিনি জানান।
কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বেশ কিছু বাসিন্দাদের মাঝে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনিহা প্রকাশ করছে। কাপ্তাই নতুনবাজার, ঢাকাইয়া কলোনি, লগগেইট, কার্গোর নিচ, আফছারের টিলা, শীলছড়ি, বারঘোনা, বড়ইছড়ি রাঙামাটি সড়ক, কেপিএম, রাইখালীসহ ৫ শতাধিক পরিবার এখনো ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে।
রাঙামাটিতে শনিবার (৫ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩৭.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এছাড়া আগের দিন বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছিল ৯৪ মিলিমিটার। কাপ্তাই তথ্য অফিসের পক্ষ থেকে নিকটস্থ আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে মাইকিং করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে টানাবর্ষণে ভয়াবহ পাহাড় ধসে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছিল অনেকেই।
পূর্বকোণ/কবির/জেইউ/পারভেজ