চট্টগ্রাম রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪

দেড় কোটি টাকার গাড়ি কিনতে পারবেন শীর্ষ সরকারি চাকরিজীবীরা

অনলাইন ডেস্ক

২ আগস্ট, ২০২৩ | ১১:০৪ অপরাহ্ণ

সরকারি কর্মচারীদের জন্য গাড়ি কেনার পথ খুলে দেওয়ার পাশাপাশি গাড়ির বাজেটও বাড়ানো হয়েছে। তাতে সরকারে শীর্ষ কর্মচারীরা পাবেন আগের চেয়ে বেশি দামি গাড়ি। এতদিন গাড়িবাবদ সর্বোচ্চ বরাদ্দ ছিল ৯৪ লাখ টাকা। এখন তা বাড়িয়ে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। অর্থ বিভাগ রেজিস্ট্রেশন, শুল্ক-করসহ গাড়ির দাম নির্ধারণ করে গত সোমবার নতুন নির্দেশনাটি দিয়েছে।

 

৩১ জুলাই অর্থ বিভাগ এক পরিপত্রে নতুন করে যানবাহনের মূল্য নির্ধারণের কথা জানায়। যদিও চলতি অর্থবছরের শুরুতে অপর এক পরিপত্রে বলা হয়েছে, পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় মোটরযান, জলযান ও আকাশযান কেনা বাবদ বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে।

 

তবে পরিচালন বাজেটের আওতায় ১০ বছরের বেশি পুরানো মোটরযান প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে অর্থ ব্যয় করা যাবে। অর্থাৎ যেসব গাড়ির বয়স ১০ বছরের বেশি হয়েছে সেগুলো বাতিল করে নতুন করে গাড়ি কেনা যাবে।

 

উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা দাপ্তরিক ও ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের জন্য সার্বক্ষনিক গাড়ি পেয়ে থাকেন। এছাড়া প্রকল্পের প্রয়োজনেও বিভিন্ন ধরনের গাড়ি কেনা হয়ে থাকে।

 

অর্থ বিভাগের সর্বশেষ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সরকারি প্রতিষ্ঠান এখন থেকে অনুর্ধ্ব ১৬০০ সিসির কার কিনতে (রেজিস্ট্রেশন, ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ) সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবে। অনুর্ধ্ব ২৭০০ সিসির জীপ কিনতে এক কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবে। এ ধরনের কার ও জীপ গ্রেড-১ ও গ্রেড-২ পর্যায়ের অর্থাৎ সিনিয়র সচিব ও সচিব পদ মর্যাদার কর্মকর্তাদের জন্য কেনা হয়ে থাকে।

 

এছাড়া গ্রেড-৩ পর্য়ায়ের অর্থাৎ অতিরিক্ত সচিব পদ মর্যাদার কর্মকর্তাদের জন্য যে জীপ কেনা হবে (সর্বোচ্চ ২০০০ সিসি) তার সর্বোচ্চ মূল্য হবে ৬৫ লাখ টাকা। এতদিন কার বাবদ সর্বোচ্চ ৩৫ লাখ, ২৭০০ সিসির জীপ বাবদ ৯৪ লাখ ও ২০০০ সিসি জীপ বাবদ ৫৭ লাখ টাকা ব্যয় করা যেতো।

 

এছাড়া সর্বোচ্চ ২৫০০ সিসির সিঙ্গেল কেবিন পিক-আপের দাম ২৮ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৮ লাখ টাকা করা হয়েছে। একই সিসির ডাবল কেবিন পিক-আপের দাম ৪৯ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

২৭০০ সিসি মাইক্রোবাসের দাম ৪৪ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫২ লাখ, একই সিসির অ্যাম্বুলেন্সের দামও ৪৪ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৪ লাখ টাকা করা হয়েছে।

 

এসি কোস্টার বা মিনিবাসের দাম ৬৯ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ লাখ টাকা আর বড় বাসের (নন এসি) দাম ৪২ লাখ ২৯ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৬ লাখ টাকা করা হয়েছে।

 

আর ১২৫ সিসির মোটরসাইকেলের দাম আগের মতই এক লাখ ৪০ হাজার টাকা রয়েছে। একইভাবে নন এসি মিনিবাস ৩২ লাখ, ৫ টন ভার বহণ ক্ষমতার ট্রাক ৩৯ লাখ ও ৩ টন ভার বহণ ক্ষমতার ট্রাক ৩১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা অপরিবর্তিত রয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালের নভেম্বরে গাড়ি কেনার দাম ঘোষণা করা হয়।

 

অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৈশ্বিক বাজারে গাড়ির দাম বৃদ্ধি এবং ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতনের কারণে আগে নির্ধারন করা দরে গাড়ি কেনা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বাজার দর অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাটাগরির গাড়ির দর পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট