অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য বুধবার দিন ধার্য রয়েছে।
দুদকের যুক্তি উপস্থাপন শেষে গত ২৭ জুলাই রায়ের জন্য এদিন ঠিক করেন ঢাকা মহানগরের সিনিয়র বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান। মামলায় ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
এ মামলায় তারেক-জোবাইদার সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করেন দুদকের বিশেষ পিপি মোশাররফ হোসেন কাজল। তিনি বলেন, এখানে রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্য নেই। প্রত্যেক নাগরিক আইনের কাছে সমান। পলাতক তারেক রহমান এ দেশের নাগরিক হিসেবে আইনের আওতায় এসেছেন। তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মামলার সব অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৬(২) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছর ও ২৭(১) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
এ মামলায় গত ১৩ এপ্রিল পলাতক এ দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করা হয়। ওই সময় তিনি গ্রেপ্তার হন। পরে ২০০৮ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে সপরিবারে লন্ডনে চলে যান তিনি। এরপর আর দেশে ফিরেননি।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ