শুধুমাত্র জাত উন্নয়ণের মাধ্যমেই গরুর মাংসের দাম কেজিতে ২০০ টাকা কমানো সম্ভব বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশন (বিএফডিএ)।
রবিবার (৩০ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক কর্মশালায় এ তথ্য জানান সংগঠনের সভাপতি ইমরান হোসেন।
তবে এরজন্য, গোখাদ্যের দাম কমানোর তাগিদ দেন তিনি। অবশ্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলছে, পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগে বাজার ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু হতে হবে।
রাজধানী সহ সারাদেশে বাজার ভেদে এক কেজি গরুর মাংস কিনতে খরচ হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। দাম অনেক বেশি হওয়ায় এটি এখন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। মাংসের দাম কিভাবে কমানো যায় তা খুঁজতে রোববার এই কর্মশালার আয়োজন করে বিএফডিএ।
এতে খামারিরা বলেন, দেশে বর্তমানে যেসব গরু পালন করা হচ্ছে সেগুলো উন্নত জাতের নয়। তাই মাংসের উৎপাদন কম। এছাড়া, গো খাদ্যের দামও বেশি। ফলে কম দামে মাংসের উৎপাদন খরচ বেশি আর এজন্য কম দামে বিক্রিও সম্ভব হচ্ছে না। তাদের দাবি, এসব দিকে নজর দিলে গরুর মাংস পাওয়া যাবে ৬০০ টাকা কেজিতে।
ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, ‘শুধু জাত উন্নয়নের মাধ্যমে আমাদের মাংসের দাম আমরা প্রায় ২০ থেকে ২৫ ভাগ কমাতে পারবো। আমরা যদি এখন দাম ৮০০ টাকা ধরি এর ২০ ভাগ ১৬০ টাকা। মানে সাড়ে ৬০০ টাকায় দাম ইজিলি আনা সম্ভব শুধু জাত উন্নয়ন করে।’
তবে মাংসের চড়া দামের জন্য বিপণন ব্যবস্থাকে দুষছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে শুধু মাংস নয়, সব পণ্যের দামই সহনীয় হতে পারে।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজজামান বলেন, ‘ছোট ছোট মার্কেটে বা আমরা এটা যেখান থেকে কনজাম করি সে সব জায়গায় হাত বদলের ক্ষেত্রে দেখা গেলো যে দামটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাহলে কি হলো, আমাদের বিপণন ব্যবস্থায় আমরা যদি আরও একটু স্মার্ট হতে পারি তাহলে হয়তো এই জায়গাগুলোতে আমাদের কিছুটা কাজ করার সুযোগ আছে।’
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দেশে বছরে গরু ও খাশির মাংসের চাহিদা ৮৯ লাখ টন। যার বিপরীতে উৎপাদন ৯২ লাখ ৬৫ হাজার টন।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ