আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলনের নামে কোনো ধরনের সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ তা মোকাবিলা করবে। কোনোভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট হলে ও জননিরাপত্তার বিঘ্ন ঘটলে এর দায়ভার বিএনপিকে নিতে হবে।
বুধবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। তবে ফখরুলের কোন বক্তব্যের নিন্দা জানানো হয়েছে, তা উল্লেখ করা হয়নি।
বিএনপিকে ষড়যন্ত্র অপকৌশল থেকে ফিরে এসে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচালের জন্য বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিল। ৩ হাজার ৮০০ যানবাহন, ৫ শতাধিক স্কুল, ভূমি অফিস, মানুষের ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিল। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর চক্রান্ত করছে। তারা তথাকথিত আন্দোলনের নামে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভণ্ডুল করার পাঁয়তারা করছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি নির্বাচনে আসতে ভয় পায়। দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে, বিগত দিনগুলোতে নির্বাচন ও নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই ছিল বিএনপির একমাত্র রাজনৈতিক এজেন্ডা।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে বিএনপি তাদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডার বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ বিনষ্ট করার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। একইসঙ্গে সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করছে এবং সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির উস্কানি দিচ্ছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে বিএনপির সন্ত্রাসী অপতৎপরতা তত বৃদ্ধি পাবে।
মন্ত্রী বলেন, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, বিএনপির রাজনীতির মূল হাতিয়ার হলো সন্ত্রাস ও মিথ্যাচার। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ভূলুণ্ঠিত করে অসাংবিধানিক ও অবৈধ পন্থায় রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন।
‘জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের টুঁটি চেপে ধরে। বিএনপি সর্বদাই গণচেতনার বিপরীতে পথ চলা রাজনৈতিক অপশক্তি। বিএনপি ও তার দোসররা বারবার এ দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করেছে। জনমনে ভীতির সঞ্চার করে জনগণকে জিম্মি করে যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখলই বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপি এ দেশের গণতন্ত্র নস্যাৎ করেছে। রাষ্ট্র পরিচালনার নামে দুর্নীতি ও দুঃশাসনের রাজত্ব কায়েম করেছিল। বিচারবিভাগকে দলীয় কার্যালয়ের আঙিনায় রূপান্তরিত করেছিল। সেই বিএনপির মুখে আজ গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের কথা- ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া আর কিছু নয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যাকারী বিএনপির নেতারা গণতন্ত্রের মুখোশ পরে জনগণের সামনে দাঁড়াচ্ছে। মুখোশের আড়ালের মুখগুলোকে জনগণ ভালোভাবেই চেনে। তাই বিএনপির কোনো আহ্বানে জনগণ সাড়া দেয়নি। আগামীতেও তারা জনগণের কোনো সমর্থন পাবে না।
পূর্বকোণ/রাজীব/পারভেজ