রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও দেশে ডলার সংকটের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের আমদানি নিষেধাজ্ঞায় চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বেসরকারি অফডকগুলোতে। ২০২২২-২৩ অর্থবছর শেষে অফডকগুলোর কনটেইনার হ্যান্ডলিং পরিসংখ্যানে নেতিবাচক প্রভাব স্পষ্ট হয়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়-২০২১-২২ অর্থবছরে অফডকগুলো ২ লাখ ৭০ হাজার ৯৯ টিইইউস আমদানি পণ্যের কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে। অথচ বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি পণ্যের কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে ২ লাখ ২০ হাজার ৯৯২ টিইইউস। অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে অফডকগুলো ৪৯ হাজার ১০৭ টিইইউস কম আমদানি পণ্যের কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে। যার ফলে আমদানি পণ্যের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ১৮ শতাংশ।
অন্যদিকে, শতভাগ রপ্তানি পণ্য হ্যান্ডলিং করা অফডকগুলোর রপ্তানি কনটেনার হ্যান্ডলিং চিত্রও নিম্নমুখী। ২০২১-২২ অর্থবছরে অফডকগুলো রপ্তানি পণ্যের কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে ৭ লাখ ৭১ হাজার ৮৮ টিইইউস। অথচ বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি পণ্যের কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৮৫৮ টিইইউস। অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে অফডকগুলো ৮৬ হাজার ২৩০ টিইইউস কম রপ্তানি পণ্যের কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে। যার ফলে আমদানি পণ্যের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ।
কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের এমন উল্টো চিত্র প্রসঙ্গে অফডকগুলোর মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোর্টস এসোসিয়েশনের (বিকডা) মহাসচিব মো. রুহুল আমিন সিকাদার পূর্বকোণকে বলেন, ডিপোগুলো গত অর্থবছরে একসাথে ৫৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের রপ্তানি পণ্য পরিচালনা করেছে। এছাড়া অফডকগুলো ৩৮ ধরনের আমদানি পণ্য হ্যান্ডলিং করার অনুমতি রয়েছে। যা সমস্ত আমদানির আনুমানিক ২২ শতাংশ। আমাদের সবসময়ই আমদানি ও রপ্তানি পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ছিল। কিন্তু এই ধরনের মন্দা আমাদের জন্য বিরল।
তিনি আরো বলেন, ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে এই পতন ঘটেছে যা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়েছিল। পাশপাশি ডলারের বাজারের অস্থিরতা এবং রপ্তানি ক্রমান্বয়ে কমতে থাকা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। করোনার মহামারী ছাড়া ডিপোগুলো কখনই এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি।
পূর্বকোণ/মাহমুদ