লক্ষ্মীপুরে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি চলাকালে বেশ কয়েকটি স্থানে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় একজন নিহত হয়েছেন; যাকে ‘যুবদল নেতা’ বলে দাবি করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার বিকালে শহরের সামাদ স্কুল মোড়ে তার ওপর হামলা হয় বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়া।
তিনি দাবি করেন, “সামাদ স্কুল মোড়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সজিব নামে ওই কর্মীর ওপর হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি মদিনউল্লাহ হাউজিংয়ের একটি বাড়ির নিচে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।”
জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম লিটন বলেন, “সজীব দত্তপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।”
সজীবের মরদেহ লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে। তারপর তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়। একজনের মৃত্যু ছাড়া পুলিশসহ ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
বিকালে লক্ষ্মীপুর ডায়াবেটিস হসপিটালের সামনেও পুলিশের সঙ্গে বিএনপির কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে।
এতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিমসহ অনেকে আহত হন। তাদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, “বিএনপির নেতাকর্মীদের ইটের আঘাতে ২০-২৫ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশকে রাবার বুলেট, কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপের পাশাপাশি লাঠিপেটাও করতে হয়।” তবে সজিবের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে সে সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। তথ্যসূত্র :বিডিনিউজ
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ