আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুসারে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলারে। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে রিজার্ভের এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রচলিত হিসাবে বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নেয়ার সময় অন্যান্য বিভিন্ন শর্তের সঙ্গে আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গণনা করার শর্ত দেয়া হয়েছিল। এক্ষেত্রে ব্যালান্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল আইএমএফ সিক্সথ এডিশন যা সংক্ষেপে বিপিএম-৬ নামে পরিচিত, সেটি অনুসরণ করে বাংলাদেশের রিজার্ভ গণনা করার শর্ত দেয়া হয়েছিল। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতিতে নতুন এ নিয়ম অনুসরণ করে রিজার্ভ গণনা ও প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রসঙ্গত, এ বছরের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের নির্বাহী বোর্ডের সভায় বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। সাত কিস্তিতে ৪২ মাসে এ ঋণ পাবে বাংলাদেশ। ঋণের গড় সুদের হার ২ দশমিক ২ শতাংশ। ৪৭০ কোটি ডলারের মধ্যে দুই ধরনের ঋণ রয়েছে। বর্ধিত ঋণ সহায়তা বা বর্ধিত তহবিল (ইসিএফ অ্যান্ড ইএফএফ ) থেকে পাওয়া যাবে ৩৩০ কোটি ডলার। রেজিলিয়্যান্স অ্যান্ড সাসটেইনিবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় পাওয়া যাবে ১৪০ কোটি ডলার।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে আইএমএফের কাছ থেকে ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার বুঝে পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত এ ঋণ কর্মসূচী চলাকালীন বাংলাদেশ সরকারকে বিভিন্ন ধরনের শর্ত পরিপালন ও সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। ঋণ প্রস্তাব অনুমোদনের পরে এক বিবৃতিতে আইএমএফ জানায়, বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষা, সামাজিক ও উন্নয়নমূলক ব্যয়ে সক্ষমতা তৈরিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করা, আর্থিক খাত শক্তিশালী করা, নীতি কাঠামো আধুনিক করে তোলা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার কাজে এ ঋণ সাহায্য করবে।
পূর্বকোণ/আরআর/এএইচ