বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা অসমযুদ্ধের মধ্যে আছি। এই যুদ্ধ আমাদের গণতন্ত্রকে রক্ষা করার যুদ্ধ, এই লড়াই দেশ রক্ষার, এ লড়াই আমাদের অস্তিত্বের লড়াই। সময় খুব কম। এই সময়ের মধ্যে সব মানুষকে জাগিয়ে তুলতে হবে।’
মঙ্গলবার দলের চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির প্রশিক্ষণ সেলের উদ্যোগে ‘নারী নেতৃত্ব অগ্রগতি’ বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘মগবাজারে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা হয়েছে। এটা অত্যন্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তমূলক। দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতেই এটা করা হচ্ছে। যারা বিরোধী দলকে দোষারোপ করতে চায় তারা এগুলো করছে। তারা তাদের বিভিন্ন সংস্থাগুলো দিয়ে এগুলো করাচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একটা সমস্যা আছে। তাদের চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা একনায়কতন্ত্রের মানসিকতা নিয়ে কাজ করছেন। আর রাজনৈতিক দলগুলোর গণতন্ত্রের স্পেস ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরা (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায় স্থায়ীভাবে থাকতে চায়। আমরা গণতন্ত্রকে ফিরে আনার জন্য গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পদ্ধতিতে কাজ করছি।’
ফখরুল বলেন, ‘আজ বিদেশিদের নিয়ে কথা হচ্ছে। বিদেশিরা কেন আসছে? আজ আমেরিকা থেকে একটা টিম আসছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে একটা টিম আসছে। তারা এখানে মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও নির্বাচন সম্পর্কে জানতে এসেছেন এবং বুঝতে চায়। আর এখানে গণতন্ত্র নাই, নির্বাচন হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘সামনে নির্বাচনে নির্ধারিত হবে যে, দেশে গণতান্ত্রিক থাকবে কি থাকবে না। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব থাকবে কি থাকবে না। তাই আজ আমাদের সকলের দায়িত্ব রুখে দাঁড়ানো।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, চীফ অব পার্টি (ডিআই) ডেনা এল ওলস্, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, বিএনপি নেতা রাশেদা বেগম হিরা, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, রেহানা আক্তার রানু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পূর্বকোণ/এএইচ