চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

মিনায় ২০ লাখের বেশি মুসল্লি

কামাল পারভেজ অভি

২৬ জুন, ২০২৩ | ১২:৪৫ অপরাহ্ণ

সৌদিআরবে মঙ্গলবার (কাল) পবিত্র হজ। এরই মধ্যে হজ পালনের উদ্দেশ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ২০ লাখের ও বেশি মুসল্লি দুই টুকরো সাদা ইহরাম কাপড়ে শরীর ঢেকে সমবেত হয়েছেন পৃথিবীর সর্ববৃহৎ তাঁবুর শহর মিনায়।

 

পবিত্র মসজিদুল হারাম থেকে প্রায় নয় কিলোমিটার দূরের মিনা এখন যেন তাঁবুর শহর। যেদিকে চোখ যায়, তাঁবু আর তাঁবু। তাঁবুতে প্রত্যেকের জন্য আলাদা ফোম, বালিশ, কম্বল বরাদ্দ। ফোমের নিচে বালু। মিনায় অবস্থান করা হজের অংশ। হজযাত্রীরা নিজ নিজ তাঁবুতে নামাজ আদায়সহ অন্যান্য ইবাদত করছেন।

 

মিনায় রাতযাপন জীবনের এক পরম পাওয়া। আজ (সোমবার) ৮ জিলহজ হজযাত্রীরা মিনায় অবস্থান করবেন। কাল থেকেই ‘লাব্বায়িক আল্লাহুম্মা লাব্বায়িক’ ধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠবে মক্কার ঐতিহাসিক আরাফাত ময়দান। এ বছর বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৬০টি দেশের হজযাত্রীরা হজে অংশ নিচ্ছেন। তবে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২২ হাজার হাজি হজ পালন করবেন।

 

সৌদিআরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী ডা. তৌফিক আল রাবিয়া বলেন, ‘রবিবার (গতকাল) থেকে বিশ্বের লাখো মুসলিমের লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত মক্কা নগরীর মিনা। এ বছর ৩২ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী হজযাত্রীদের সেবা দিচ্ছেন। হজ পালনে আল্লাহর অতিথিদের সব ধরনের সহযোগিতা করতে সরকার ও সৌদির জনগণ অংশ নেবে।

 

পবিত্র স্থানগুলোতে পরিবহন ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফার মতো স্থানগুলো একটি সমন্বিত পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। তা ছাড়া এক স্থান থেকে অন্যস্থানে যাওয়ার জন্য থাকবে ট্রেন ও বাস।’

 

সব জায়গাতেই বিশেষ করে মিনায় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো হাজযাত্রীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা।

 

আল-রাবিয়া আরও জানান, তার মন্ত্রণালয় আল্লাহর অতিথিদের স্বস্তি নিশ্চিত করতে ও হজে একটি সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে। এ ক্ষেত্রে কয়েক বছর ধরেই পরিশ্রম করছে সৌদি সরকার।

 

নারী নিরাপত্তাকর্মীরা হাজিদের নিরাপত্তার পাশাপাশি পবিত্র কোরআন বিতরণ ও হাজিদের হজের নিয়মকানুন শিখিয়ে দেবেন। কাল (মঙ্গলবার) সূর্যোদয় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরাফাত ময়দানের উদ্দেশে রওনা হবেন হাজিরা। আরাফাত ময়দানে জোহর ও আসর নামাজ একসঙ্গে আদায় করবেন তারা। তারপর সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে হাজিরা মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা দেবেন এবং রাতে সেখানেই অবস্থান করবেন। পথে শয়তানকে নিক্ষেপ করার জন্য পাথর সংগ্রহ করবেন।

 

হজের এই বিশাল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রশাসনিক প্রতিনিধিদল সৌদি আরব পৌঁছেছেন অনেক আগেই। সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যসেবার জন্য এসেছে চিকিৎসক দল।

 

এবার হজ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

উল্লেখ্য, সৌদিআরবে হজ পালন করতে গিয়ে গতকাল (রবিবার) পর্যন্ত ২৬ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ২২ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী।

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট