চট্টগ্রাম সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আমার এখন আর কোনো দুঃখকষ্ট নেই : সেব্রিনা ফ্লোরা

১২ জুন, ২০২৩ | ৩:১৪ অপরাহ্ণ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা গুরুতর অসুস্থতা থেকে সেরে ওঠেন। দীর্ঘদিন বাদে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই সেরে ওঠার উপলব্ধি থেকে বলেছেন, জীবন ফিরে পাওয়ার মতো বড় আর কিছুই নেই।

তিনি বলেন,‘সেটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। একটা কথা প্রায়ই বলি। অনেক কিছুই অনেকে জীবনে পায় না, দুঃখকষ্ট থাকে। আমার এখন আর কোনো দুঃখকষ্ট নাই। দুটো জিনিস আমি পেয়েছি, প্রথমত জীবন ফিরে পাওয়ার মতো বড় কিছু আর নাই। আর দ্বিতীয়ত অনেকের ভালোবাসা, দোয়া, শ্রদ্ধা অনেক পেয়েছি।’

রোববার (১২ জুন) ওয়ান হেলথ বাংলাদেশ কনফারেন্স উপলক্ষে আইইডিসিআরের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ফ্লোরা, যেখানে কোভিড মহামারীর শুরুর দিকে নিয়মিত ব্রিফিং করতেন তিনি।

মহামারী চলার মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়লে গত আগস্টের শুরুতে তাকে নেওয়া হয়েছিল সিঙ্গাপুরে। অবস্থার অবনতি হলে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় বেশ কিছুদিন। তারপর সুস্থ হয়ে দেশে ফেরেন গত ২৯ ডিসেম্বর।

অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন থাকার সময় সবাই তার জন্য দোয়া করেছেন, এজন্য তিনি কাছে কৃতজ্ঞ।

‘সেটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। একটা কথা প্রায়ই বলি। অনেক কিছুই অনেকে জীবনে পায় না, দুঃখকষ্ট থাকে। আমার এখন আর কোনো দুঃখকষ্ট নাই। দুটো জিনিস আমি পেয়েছি, প্রথমত জীবন ফিরে পাওয়ার মতো বড় কিছু আর নাই। আর দ্বিতীয়ত অনেকের ভালোবাসা, দোয়া, শ্রদ্ধা অনেক পেয়েছি।’

কোভিড মহামারী শুরুর পর ২০২০ সালের শুরু থেকে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসে সর্বশেষ তথ্য ও নানা পরামর্শ দিয়ে দেশে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন ফ্লোরা।

সে সময় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক ছিলেন তিনি। ২০২০ সালের ১৩ অগাস্ট থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক করা হয় তাকে। এর পরপরই অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীনে ছিলেন তিনি। দেশে ফেরার পর থেকে তিনি জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালকের দায়িত্বে আছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ফ্লোরা বলেন, ‘মানুষ বলে বিপদে পড়ে লোক চেনা যায়। আমিও বিপদে পড়ে লোক চিনেছি, কিন্তু আমি কাউকে নেগেটিভলি চিনি নাই। প্রত্যেকটা মানুষ আমার সঙ্গে ছিল, আমার জন্য দোয়া করেছে। এজন্য আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ওয়ান হেলথ বাংলাদেশের প্রতি দুই বছর পর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, পরিবেশসহ বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞ এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরাও অংশ নেন। করোনাভাইরাসের কারণে ২০১৯ সালের পর এই সম্মেলন আর হয়নি।

আইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন জানান, এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচ ফর ট্যাকলিং অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল রেজিস্ট্যান্স অ্যান্ড প্যানডেমিকস’। সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক তিন দিনের এ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মাহমুদুর রহমান, আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএসএম আলমগীর, ওয়ান হেলথ বাংলাদেশের ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেটর নিতিশ চন্দ্র দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট